কঠিন ঐক্যগড়ে তুলতে হবে : ফখরুল

পিবিএ, ঢাকা : নাৎসীবাদের চরম উত্থানে দেশবাসী ভয় ও আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে, তাই স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তির এ মুহুর্তে ইস্পাত কঠিন ঐক্যগড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

fokrul thakurga
ফাইল ছবি

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে এই মহান দিবসে সশ্রদ্ধচিত্ত্বে স্মরণ করেছেন স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। তিনি বলেছেন, যার ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এদিনে গোটা জাতি ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই সকল জাতীয় নেতার প্রতি, যারা দেশ ও জাতির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন।

ফখরুল বলেন, বিশাল ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে মহিমান্বিত আমাদের স্বাধীনতা। কথা ছিল একটি পতাকা পেলে দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকবে। কিন্তু দেশের মানুষ সেই সুখ, শান্তি পায়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন সেটিও আজকে বিনষ্ট করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী অপশাসন চালু করা হয়েছে। কেউ যাতে মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার নিয়ে কথা না বলে, নাগরিক স্বাধীনতার জন্য আওয়াজ না তোলে সেজন্যই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।‘গণতন্ত্রের মা’ বেগম জিয়াকে বন্দি করার অর্থ গণতন্ত্রকেই বন্দি করে রাখা।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের আগের দিন মধ্যরাতের নজীরবিহীন নির্বাচনের পর সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চুড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। আর এজন্যই সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বিপুল জনসমর্থিত নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও অপহৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সাহসী সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...