রাজধানীর কদমতলী এলাকায় চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী সজিব হোসেন সাগরকে (১৯) গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার কদমতলীর পালপাড় এলাকা থেকে র্যাব-১০ একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকার গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায়, মুন্সিগঞ্জের পঞ্চসার এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে সিএনজিচালক মো. সালাউদ্দিন (৫৪) জীবিকা নির্বাহ করত। গত ১ নভেম্বর শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ছেলে সালমান (১৮) সালাউদ্দিনের সিএনজিটি ভাড়ায় চালানোর জন্য বের হয়। এর পরদিন সকালে সালমান তার বাবা সালাউদ্দিনের মোবাইলে ফোন করে জানায় যে, কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা তাকে আটকে রেখেছে এবং তাকে জীবিত অবস্থায় ফেরত পেতে হলে চাঁদা হিসেবে ১ লাখ টাকা দিতে হবে। এ কথা বলে সালমান ফোনটি কেটে দেয়। এ ঘটনায় সালমানের বাবা সালাউদ্দিন কদমতলী থানা পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল কদমতলী থানাধীন মেরাজনগর এলাকা হতে ভিকটিম সালমান (১৮) ও তার সিএনজিতে থাকা যাত্রী অপর দুই ভিকটিম কাওসার (২০) ও কিশোরী ভিকটিমকে (১৯) উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভিকটিম সালমানের বাবা সালাউদ্দিন বাদী হয়ে ডিএমপির কদমতলী থানায় আসামী সজিব হোসেন (২) সাগরসহ ৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন আসামীদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করেন।
এ মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১০ এর আভিযানিক দল কদমতলীর পালপাড় এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান আসামী মো. সজিব হোসেন সাগরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানায়, সালমানের সিএনজিতে থাকা দুই ভিকটিমকে সজিব হোসেন সাগরসহ অপরাপর ৯-১০ জন আসামীরা মিলে জোরপূর্বক টেনে হিচড়ে ও মারধর করে ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী একটি বাসার নিচতলায় নিয়ে ভিকটিম সালমান ও কাওসারকে আটকে রাখে।
এছাড়া অপর কিশোরী ভিকটিমকে (১৯) বাসার বাথরুমে নিয়ে গিয়ে আসামী সজিব হোসেন (২) সাগরসহ অপরাপর আসামীরা ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।