পিবিএ ডেস্ক : কবি রফিক আজাদের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী আজ। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সংগঠন কবির কবির জন্মবার্ষিকী পালন করছে। দিবসটি উপলক্ষে কবি রফিক আজাদ স্মৃতি পর্ষদ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সকালে কবির সমাধিতে স্মৃতি পর্ষদ ও পরিবারের পক্ষ থেকে পুস্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিকেল চারটায় কবি রফিক আজাদের বাসভবনে (বাড়ি নং ১৩৯/৪এ, সড়ক নং ১, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা-১২০৫)-এ কবির সাক্ষাৎকারভিত্তিক গ্রন্থ ‘মুখোমুখি রফিক আজাদ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আগামীকাল বাংলা একাডেমির গ্রন্থমেলা মঞ্চে বিকেল চারটায় ‘কবি রফিক আজাদ : শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং কবির কবিতা থেতে আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
একাধারে মুক্তিযোদ্ধা, কবি, সাংবাদিক, সম্পাদক ও লেখক রফিক আজাদ ১৯৪২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনেই সাহিত্য তিনি চর্চা শুরু করেন। ষাট দশকের কবি শিক্ষকতা পেশার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। টাঙ্গাইল মওলানা মুহম্মদ আলী কলেজে শিক্ষকতা করেন। দেশ স্বাধীনের পর বাংলা একাডেমিতে চাকুরী শুরু করেন। প্রায় দেড় দশক বাংলা একাডেমিতে থাকাকালে তিনি একাডেমি’র পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একাডেমির সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’ সম্পাদনা করতেন। একাডেমির চাকুরিতে ছেড়ে ইত্তেফাক গ্রুপের ‘সাপ্তাহিক রোববার’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। কবি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর অধীনে অংশ নেন।
কবি রফিক আজাদ মূলতঃ সৃজনশীল ও চিরায়ত কবিতার প্রণেতা। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলো হলো, অসম্ভবের পায়ে, সীমাবদ্ধ জলে সীমিত সবুজে, চুণিয়া আমার আর্কেডিয়া, পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি, প্রেমের কবিতাসমগ্র, বর্ষণে আনন্দে যাও মানুষের কাছে, বিরিসিরি পর্ব ও রফিক আজাদের কবিতা সমগ্র।
সাহিত্যে অবদানের জন্য কবি রফিক আজাদ একুশে সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, হুমায়ুন কাদর স্মৃতি পুরস্কার, হাসান হাফিজুর রহমান পুরস্কার, কবি আহসান হাবী পুরস্কার, মুক্তিযোদ্ধা সন্মাননায় ভূষিত হন। ২০১৬ সালের ১২ মার্চ কবি ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেন।
পিবিএ/জিজি