পিবিএ,ঢাকা : ইউটিউব, ফেসবুক ও গুগলে দেশের অনেক বিজ্ঞাপন চলে যাচ্ছে। এগুলো থেকে কোনো রাজস্ব পাওয়া যায় না। তাই এগুলোর বিজ্ঞাপনকে করের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, সারাবাংলা ডটনেট, দৈনিক সারাবাংলা ও জিটিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইউটিউব, ফেসবুক ও গুগলকে শৃঙ্খলায় আনতে যেসব জায়গায় আলোচনা করা প্রয়োজন সেসব জায়গায় করেছি। এছাড়া শৃঙ্খলায় আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য আইসিটি মন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
তিনি বলেন, ভারতে এ রকম বিশৃঙ্খল অবস্থা নেই। সেখানে ইউটিউব, ফেসবুককে নিবন্ধন করতে হয়। তাই আমরাও যেন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত না হই এবং সব বিজ্ঞাপন যেন ওই সব মাধ্যমে না চলে যায়, সে জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে সম্প্রচারের জন্য যে ডাউনলিংক ফি রয়েছে, এটা খুবই কম। বাংলাদেশি চ্যানেল অন্যান্য দেশে সম্প্রচারের জন্য ডাউনলিংক ফি দেয়া লাগে ৫ কোটি টাকা। আর বাংলাদেশে বিদেশি চ্যানেলের ডাউনলিংক ফি মাত্র ৫ লাখ টাকা। তাই দেশে ডাউনলিংক ফি বাড়িয়ে সমতা আনাটা অত্যন্ত যৌক্তিক। এ নিয়ে আলোচনা করে পরে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের পক্ষ থেকে ঢাকায় এশিয়া মিডিয়া সামিটের আয়োজনের প্রস্তাবে তিনি বলেন, আপনারা আয়োজন করেন, তথ্য মন্ত্রণালয় এতে সহযোগিতা করবে।
এশিয়া মিডিয়া সামিটের বিষয়ে শাকিল আহমেদ বার্তা সংস্থা পিবিএকে বলেন, সামিটে এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য দেশের টেলিভিশন চ্যানেলের কর্তৃপক্ষকে আনা হবে। একই সঙ্গে তারা কীভাবে বিভিন্ন সঙ্কট মোকাবেলা করেছে সেসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে, যা আমাদের দেশের টিভি শিল্পের জন্য অত্যন্ত কাজে আসবে।
পিবিএ/এমএস