করোনাভাইরাসে ফ্লাইট বিপর্যয় : ২ লাখ ফ্লাইট বাতিল, ক্ষতি ২৯০০ কোটি ডলার

পিবিএ ডেস্ক : করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বাতিল হচ্ছে একের পর এক ফ্লাইট। সংক্রমণ ঠেকাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে বিমান চলাচলে। বিশেষ করে চীন, ইরান, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিমান চলাচল বাতিল ও সীমিত করেছে অনেক দেশ।

ইন্ডিয়া টুডে জানায়, বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত দুই লাখেরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ফলে বিমান পরিবহন শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাসে।

ফেব্রুয়ারি শেষ সপ্তাহে বিমান চলাচল ২০ শতাংশ কমে আসে। ২০০৮ সালের পর থেকে এমন বড় ধরনের পতন ঘটে ফ্লাইটের।

এনওয়াইএসই আরকা এয়ারলাইন ইনডেক্স থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়। উত্তর আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা ও ইউরোপের বিমান চলাচলের ট্র্যাক করে থাকে এটি।

ইনডেক্সটি জানায়, আমেরিকান এয়ারলাইনসের শেয়ার ৭.৭ শতাংশ পড়ে গেছে। ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ২.৪ শতাংশ এবং ডেলটার শেয়ার ২.৮ শতাংশ কমে গেছে।

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে রাজস্ব আয়ে ২৯০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। গত এক দশকে প্রথম এই ধরনের ক্ষতি মুখে পড়ল বিমান চলাচল শিল্প। ২০০৩ সালে সার্সে এই ধরনের ক্ষতি হয়েছিল।

ক্ষয়ক্ষতির বেশির ভাগই হয়েছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। বিশেষ করে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে চীনের অর্থনীতি। দেশটি থেকেই করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। শুধু চীনের এয়ারলাইনসগুলোর ক্ষতিই ১২৮০ কোটি ডলার।

এদিকে চীনে করোনাভাইরাসে নতুন করে মারা গেছে আরও ১৩৯ জন। বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৩২৮৫ জন। যাদের মধ্যে তিন সহস্রাধিকই চীনের বাসিন্দা। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৪০৯ জন আর গোটা বিশ্বে ৯৫ হাজার ৪১১ জন।

চীনের পর করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে ইতালিতে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেঁড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৮৯ জন।

ভয়াবহ পরিস্থিতি ইরানেও। দেশটিতে মারা গেছে ৯২ জন। সেখানে সংক্রমণ ঘটেছে ২৯২২ জনের দেহে। ইরানে উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তাও ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছেন।

পিবিএ/জেডআই

আরও পড়ুন...