করোনা হলে শরীরের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। কারও কম, কারও বেশি। একেকজনের একেকরকম উপসর্গ। এর মধ্যে ব্যায়াম করা কি উচিত? কী ধরনের ব্যায়াম করলে শরীরের উপকার হবে? এই ধরনের নানা প্রশ্ন এখন অনেকেরই মনে।
যেটা প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, সেটা হল আপনার শরীর। যেহেতু রোগটা একেক জনকে একেক রকমভাবে আক্রমণ করছে, তাই নিজের শরীর নিজেকেই বুঝে নিতে হবে। ধরুন আপনার আগের তুলনায় এখন শারীরিক সমস্যা কম। অনেকটাই সুস্থবোধ করছেন। কিন্তু আরও কিছুদিন একা থাকতে হবে। অল্পতে ক্লান্তও হয়ে পড়ছেন। সে ক্ষেত্রে খুব হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। কিন্তু যদি ব্যায়াম করতে গিয়ে মনে হয়, শরীরের উপর চাপ বেশি পড়ছে, তাহলে কিছুদিন বিশ্রাম নিন। ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন।
যদি ডাক্তার অনুমতি দেন, যে আপনি দিনে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করতে পারেন, তাহলে কী ধরনের এক্সারসাইজ করলে উপকার পাবেন, জেনে নিন।
হাঁটা
বাড়ির মধ্যেই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে দেখে নিন কতটা হাঁপিয়ে যাচ্ছেন। যদি মনে হয় পারবেন, তাহলে স্পট ওয়াকিং বা এক জায়াগায় হাঁটতে পারেন। তবে সেটা ১০-১২ মিনিটের বেশি নয়।
সিটিং মার্চ
যদি দেখে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে, তাহলে একটা চেয়ার বসুন। এক জায়গায় বসেই হাঁটার ভঙ্গিতে পা চালান। এটাকে বলে সিটিং মার্চ।
পায়ের পাতার ব্যায়াম
টিপ-টো এক্সারসাইজ বা পায়ের পাতার ব্যায়াম বসে বসেই করতে পারবেন। পায়ের পাতা টানটান করুন। গোল করে ঘোরান। প্রথম ডান দিকে দিয়ে গোল করে, তারপর বাঁ দিক দিয়ে। পায়ের আঙুল টানটান করুন। দাঁড়িয়ে পায়ের আঙুলে উপর ভর দিয়ে উঁচুতে ওঠার চেষ্টা করুন। সিড়ির কয়েক ধাপ ওঠা-নামা (খুব বেশি নয়) করতে পারেন। সিড়ির ধাপে পা রেখে হাটু ভাজ করে পা স্ট্রেচ করার ব্যায়মগুলোও করে দেখে নিন আপনার কতটা অসুবিধা হচ্ছে।
স্ট্রেচিং
হালকা স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করতে পারেন। হাত, পা, হাটু, শরীরের উপর অংশ, শরীরের নীচের অংশ স্ট্রেচ হয়, এমন ধরনের সহজ ব্যায়াম করুন। হাত সামনের দিকে বা উপর দিকে তোলা-নামানোর ব্যায়মগুলো করতে পারেন। এতে বেশি ক্লান্তি আসবে না।
যোগা
যোগ ব্যায়াম শরীরে পাশাপাশি মনের সুস্থাতার জন্যেই কার্যকরি। ১৫-২০ মিনিট সহজ কিছু আসন এবং নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামগুলি করতে পারেন।