মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মিল মালিকরা পাবেন প্রণোদনা

ফাইল ছবি।

পিবিএ,খুলনা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত চালকল মালিকদের (মিলার) জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে খুলনা জেলায় শতভাগ চাল প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

খুলনার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানে ঢাকার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশে কোনো খাদ্যের সংকট নেই। এ বছর পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়েছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ধান চাল মজুদ ও কৃত্রিম সংকট করে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব রাইস মিল মালিকরা করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে আরও গতি ও জবাবদিহিতা আনতে খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য অধিদপ্তরসহ এর সকল দফতরগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, ভর্তুকি দেয়াসহ নানামুখী পদক্ষেপের কারণে দেশ কৃষিতে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। এ সময় খুলনা জেলায় শতভাগ ধান চাল সংগৃহীত হওয়ায় তিনি খুলনা জেলার সকল মিল মালিক এবং জেলার সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী, অসহায়, দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। করোনায় দেশের কোনো জনগণ না খেয়ে মারা যায়নি।

খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা হলো-চুক্তির নির্ধারিত শর্তাবলির সাপেক্ষে উপযুক্ত মিলারদের নিকট থেকে স্বচ্ছতার সঙ্গে চাল ক্রয় নিশ্চিত, আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ তৈরি, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের গতি ত্বরান্বিত এবং সহজেই এ কার্যক্রম পরিচালিত, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস, নির্ভুল হিসাব সংরক্ষণ ও সকল প্রকার নথি চলাচল দুর্নীতিমুক্ত, চাল সরবরাহে মিলারদের ভোগান্তির অবসান।

এছাড়া ব্যাংকের পুনর্ভরণকৃত বিল প্রদানে দ্রুততা আনা এবং একই সঙ্গে ব্যাংক সুদ কমানো ও সরকারের আর্থিক ক্ষতি কমানো, চাল সংগ্রহ কার্যক্রম যুগোপযোগী এবং কাজের ক্ষেত্রে অধিকতর সহজ পদ্ধতি, কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো সহজতর ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং কার্যকরী করা এবং জেলা পর্যায়ে সার্বিক রাইস প্রকিউরমেন্ট কার্যক্রম অত্যন্ত সুশৃংখল ও ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সহজতর করা যাবে এই অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে।

সভায় ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...