নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : করোনা বেশ ভালভাবেই জেঁকে বসেছে। আগামী ২/৩ বছরের মধ্যেও এ থেকে মুক্তি নাও হতে পারে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বুলেটিনে এ কথা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেছেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তথ্য অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে করোনা বিষয়ে এই মত দিয়েছেন।
মানুষ যখন আগামী দুই–এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে তখনই এক গভীর অন্ধকারের ছবি আবুল কালাম আজাদ তুলে ধরলেন দেশবাসীর সামনে।
বিশ্বের অনেক দেশ যখন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করছে তখন বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন কথায় জনমনে আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে কি হবে এতদিন? কি ভাবেই বা জীবন জীবিকে চলবে।
তবে পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির ৮ জন সদস্য তিন মাস ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নানা পরামর্শ দিচ্ছে। এই কমিটির একাধিক সদস্য বলেছেন, ২/৩ বছর করোনা থাকবে এমন কোনো কথা তারা সরকার বা অধিদপ্তরকে বলেনি।
জাতীয় কারিগরি পরার্শক কমিটি নামে ১৭ সদস্যের আর একটি কমিটি আছে যারা সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছে। এই কমিটির সদস্যরাও বলেছেন, তারাও এরকম কথা কখনও বলেননি।
তা হলে আবুল কালাম আজাদ এ কথা কেন বললেন? সংবাদ বুলেটিনের পর গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা আবুল কালাম আজাদের কাছে তাঁর বক্তব্যের ভিত্তি কী তা জানতে চায়। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন এই ভাইরাস সহজে যাচ্ছে না। উচ্চহারে সংক্রমণ হয়তো হবে না। ২/৩ বছর থাকবে। দেশবাসীর আগেভাগে এ বিষয়ে প্রস্তুত থাকা দরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত তিন মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর উদ্দেশ্যহীনভাবে কাজ করেছে। সেসব কাজে কোনো সুচিন্তিত পরিকল্পনা ছিল না, কাজে কোনো সমন্বয় ছিল না। যে কারনে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদে পরিবর্তনও এসেছে। জনবলের পরিবর্তন এলেও সেবা পরিবর্তনের কোন লক্ষন নেই। আক্রান্ত বাড়ছেই। মরার উপর খাড়ার ঘা’য়ের মত, মহাপরিচালকের এই মন্তব্যে দেশে করোনা আতংক আরো বাড়াবে বৈ কমবে না।
পিবিএ/এমএ