মোহাম্মদ হোসেন,হাটহাজারী : চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বিভিন্ন স্থানে করোনায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুঁইশাক চাষীরা। উপজেলা, পৌর এলাকাসহ হালদার চরাঞ্চলের কৃষকরা এ বছর ব্যাপক হারে পুঁইশাক চাষ করেন। চাষে ব্যাপক ফলন হলেও তারা দাম পাচ্ছে না।
বর্তমানে এ অঞ্চলের পুঁইশাক এলাকায় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ হলেও এবার দুর্যোগ পরিস্থিতির কারনে সরবরাহ ছিল কম। তা ছাড়া স্থানীয় বাজার গুলোতে দাম অনেকটা কম বলে জানান চাষীরা।
বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানায়,অন্যান্য ফসলের তুলনায় পুঁইশাক চাষ লাভজনক হওয়ায় এ বছর অত্র এলাকার কৃষকরা ব্যাপকহারে পুঁই চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষক ও সবজি চাষিরা এ বছর সবাই কম-বেশি পুঁইশাক চাষ করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে হালদার চরাঞ্চলে। তবে তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে এবার পুঁইশাক আবাদে এ অঞ্চলের কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে তেমন একটা দাম নিতে পারছেন না।সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত হাট-বাজার গুলোতে যা বিক্রি হয়ে থাকে আর অবশিষ্ট শাক গুলো বাড়িতে নিয়ে আসতে হয়। নিয়ে আসা শাক গুলো আর বিক্রি হয় না, যার কারনে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় আমাদের।
পৌর এলাকার আব্দুল রাজ্জাক,মোনাফসহ একাধিক চাষীর সাথে কথা হলে তারা জানায়, আগের দিনে মানুষ বাঁশের তৈরি বান (জাংলা) তৈরি করে তার উপরে পুঁই গাছ তুলে দিতো। কিন্ত এখন এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় জাংলাসহ অন্য সবজির মতো জমিতে পুঁইশাক চাষাবাদ করা হচ্ছে। তার মতে, বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্টিনগুলোতে বিভিন্ন সবজির পাশাপাশি পুঁইশাক এর চাহিদা বেড়েছে কিন্তু এবারের বিষয় ভিন্ন, করোনায় ভাইরাসের কারনে সব হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে তাই চাষরিা এ বছর ফলন ভালো হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষীরা।
পিবিএ/ মোহাম্মদ হোসেন/ মোআ