সুকুমল কুমার প্রামানিক, রাণীনগর (নওগাঁ) : সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বাজার গুলোতে চাল, আলু, পেঁয়াজসহ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম।
এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা করোনা ভাইরাসকে পূজি করে নিত্যপন্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিক মুনফা লুটছে। নিরিহ মানুষজন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাজার মনিটরিং এ নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গত সপ্তাহে মান ভেদে মোটা চালের দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং জিরাসাইলসহ অন্যান্য চালের দাম ছিলো ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। বর্তমানে বাজারে মোটা চালের দাম ৩৮ থেকে ৪০ টাকা ও চিকন চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে একলাফে ৩৫ টাকা থেকে ৫৫-৬০ টাকা, আলু ১৮-২০ টাকা থেকে ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিটি ব্যবসা ঝিমিয়ে পরেছে। এছাড়া করোনা ভাইরাসের প্রভাবের কারনে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বাজারে চালের সরবরাহ একে বারেই কম। যে টুকু পাওয়া যাচ্ছে সে টুকু বেশি দরে কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা, তারা বলছেন, মহামরীর অজুহাতে বিগত সময়ে পেঁয়াজের মতো অরাজকতা সৃষ্টি করে ব্যবসায় ফায়দা লুটছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। মিলাররা গুদামে চাল রেখেই বাজারে চাল ছাড়ছেন না। ফলে বেড়েই চলেছে খুচরা বাজারে চালের দাম। ফলে বাধ্য হয়ে বেশি দামেই চাল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদেরকে।
রাণীনগর বাজারে আসা ক্রেতা হামিদুল হক, নয়ন আহম্মেদ, হেলাল উদ্দিনসহ আরো অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনার প্রভাবে সারাদেশে জীবন স্থবির হয়ে পরেছে। সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন যেখানে বিনামূল্যে খাবার দিচ্ছেন ঠিক সেই সময় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে প্রতিটি পন্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কাজ-কর্ম, উপার্জন নেই কিভাবে সওদা করে স্ত্রী-সন্তারদের মূখে খাবার তুলে দিবেন তা নিয়ে হতাশায় পরেছেন। এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রনের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষজন।
রাণীনগর সদর বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক বাবুসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে চাল কিনতেই তাদের বেশি দাম পড়ছে তাই বাধ্য হয়ে তারা বেশি দামে চাল বিক্রি করছেন।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল মামুন বলেন, বাজার মনিটরিং কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পিবিএ/ মোআ