পিবিএ ডেস্ক: বিশ্বের ৮০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিশ্বে করোনাভাইরাসে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আর তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের টিকা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হচ্ছে জানা ও প্রতিরোধ করা। তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কাউকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত করা যায়নি। এই ভাইরাস নিয়ে এথন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখন প্রশ্ন হলো– আক্রান্ত হলেই কি মৃত্যু নিশ্চিত।
সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস নিয়ে প্রতিনিয়ত উদ্বেগ বাড়ছে। এই রোগে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকলেও তাদের এসব বিষয় সম্পর্কে জানাতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো– কোমলমতি শিশুরা করোনাভাইরাস সম্পর্কে কিছুই জানে না। আর তারা অনেক কিছু বুঝতেও চায় না।
আসুন জেনে নিই শিশুকে কীভাবে বোঝাবেন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে? তার মনে ভয় কীভাবে দূর করবেন?
ডা. পুনম কৃষ্ণা যুক্তরাজ্যের একজন চিকিৎসক। এই চিকিৎসকের চার বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই ভাইরাস সম্পর্কে শিশুদের বোঝাতে হবে। আমাদের যেমন ঠাণ্ডা লাগে, পেট খারাপ হয় ও বমি হয়। এই ভাইরাস তেমনি।
তিনি বলেন, বাবা-মায়ের উচিত শিশুদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা। নতুবা সে স্কুলে বা বন্ধুদের কাছ থেকে ভুল তথ্য পাবে। তিনি বলছেন, ৬-৭ বছর বয়সী বা তাদের নিচে যাদের বয়স তাদের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা হলো তারা যা শুনবে তাতেই বিচলিত হবে। কারণ তাদের বাবা-মায়েরা তাদের আশপাশেই বিষয়টি নিয়ে আলাপ করছে।
ডা. উলফসন স্বীকার করছেন, যে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারে না যে তার শিশু এতে আক্রান্ত হবে কিনা। আমাদের উচিত স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় জানা।
তিনি বলেন, নিয়মিত হাত ধোয়ার বিষয়টি শিশুদের শেখাতে হবে।
তার সঙ্গে একমত পোষণ করে ডা. কৃষ্ণা বলছেন, নিজেকে রক্ষা করার জন্য যেমন শিশুর সঙ্গে হাত ধোয়ার মতো বিষয়টি নিয়ে গল্প করা।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শিশুদের মনে করিয়ে দেয়া। ছোট শিশুরা খুব কৌতূহলী হয়।
ডা. কৃষ্ণা বলছেন, শিশুরা সবকিছু ছুঁয়ে দেখে। স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে খাবার ও পানীয় আদানপ্রদান করে, যা রোগজীবাণু ছড়ানোর অন্যতম কারণ।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা
পিবিএ/এমএসএম