পিবিএ,নওগাঁ: নওগাঁর বদলগাছীতে স্বামীর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পেয়ে বাবার বাড়িতে চলে গেছেন স্ত্রী। আক্রান্ত ওই যুবকের বাড়ি উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের চাকলা গ্রামে। তিনি ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) বিকেলে ওই যুবকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। শুক্রবার (৮ মে) সকালে ওই যুবকের বাড়িসহ আশপাশে কয়েকটি এবং তার শ্বশুরবাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আক্রান্ত ওই যুবক পরিবার রেখে ঢাকার গাজীপুরে দীর্ঘদিন ধরে পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গত কয়েকদিন আগে তিনি ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি আসার পর তার শরীরে গত ৫-৬ দিন ধরে জ্বর ও কাশি দেখা দেয়। গত ৩০ এপ্রিল করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য উপজেলা মেডিকেল টিম তার নমুনা সংগ্রহ করে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই যুবকের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রিপোর্ট আসার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে ওই যুবকের স্ত্রী বিকেলে স্বামীকে রেখে বাবার বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাতশাইল গ্রামে চলে যান।
আক্রান্ত ওই যুবক বলেন, ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার পর থেকে হালকা জ্বর ও কাশি হচ্ছিল। এরপর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এলাকায় ধান কাটার কাজ করেছি। রির্পোট পজিটিভ আসার খবর পেয়ে কাজ বন্ধ করে বাড়িতে আসি। জ্বর ও কাশি কিছুটা কমলেও গলা ব্যথা আছে। করোনা আক্রান্তের খবর পেয়ে স্ত্রী তার বাবার বাড়ি চলে গেছে।বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তাহের বলেন, ওই যুবকের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসার পর তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে গেছেন। সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং থানার ওসিসহ কয়েকজন ওই যুবকের বাড়িতে যান। তার সঙ্গে কথা বলে সার্বিক খোঁজ খবর নেন তারা।
তিনি বলেন, ওই যুবকের শরীরে তেমন কোনো উপসর্গ বোঝা যাচ্ছে না। তিনি ভালোভাবে কথা বলছেন। তার বাড়িসহ আশপাশের চারটি বাড়ি এবং তার শ্বশুরবাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। শ্বশুরবাড়ি পাহারা দেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক গ্রাম পুলিশ রাখা হয়েছে।বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কানিস ফারহানা বলেন, ওই যুবক ঢাকা থেকে আসার খবর পেয়ে আমরা ৩০ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করি। নমুনা পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তার অবস্থা এখন অনেক ভালো। আমরা তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখব।
পিবিএ/ইউনুস আলী ফাইম/বিএইচ