করোনা ভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা ৫৬ ছাড়িয়েছে

ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে এমন এক হাজার ৭২ জনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে।

পিবিএ ডেস্ক: করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে সতর্কতা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা। গতকাল পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছিল ৪১। আজ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬। এখানেই থেমে নেই। পুরো এশিয়া ও বাকি বিশ্বে অব্যাহতভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। বিশ্বজুড়ে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক জরুরি সতর্কতা ঘোষণা করতে বিশেষ বৈঠকে বসার কথা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। অনলাইন বিবিসি ও সিএনএন এ খবর দিয়েছে।

চীনের মূল ভূখন্ডে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০০০ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। মূল ভূখন্ডের বাইরে ১৩টি স্থানে কমপক্ষে ৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর চীনের আংশিক অথবা পুরোপুরি অচলাবস্থা সৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ। এ পরিস্থিতিতে হুবেই প্রদেশে পাঠানো হয়েছে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম। সর্বোচ্চ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে হংকংয়ে। সেখানে স্কুল ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং তার দেশের লুনার নিউ ইয়ার বা চন্দ্র নববর্ষ উপলক্ষে এক বিশেষ বৈঠকে সতর্কতা দিয়েছেন। বলেছেন, নতুন এই ভয়াবহ ভাইরাস দ্রুতগতিতে (এক্সেলারেটিং) বিস্তার লাভ করছে। সিনিয়র কর্মকর্তাদের তিনি বলেছেন, দেশ ‘ভয়াবহ এক পরিস্থিতি’র মুখোমুখি। এ অবস্থায় বৃটেনভিত্তিক গবেষকরা সতর্কতা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এই ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা করতে একা চীন সম্মত হবে বলে মনে হয় না।

আক্রান্ত শহরগুলোতে ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আজ রোববার থেকে উহানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বেসরকারি সব যান চলাচল বন্ধ থাকবে। নতুন ১৩০০ আক্রান্ত রোগিকে সেবা দেয়ার জন্য কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে নির্মাণ কাজ শুরু হবে দ্বিতীয় একটি জরুরি হাসপাতাল। ১৫ দিনের মধ্যে এর কাজ শেষ করতে হবে বলে খবর দিয়েছে পিপলস ডেইলি। এর আগে দ্রুততার সঙ্গে এমন একটি অবকাঠামোর প্রকল্প কাজ শুরু হয়েছে। এটি ১০০০ বেড সম্বলিত একটি হাসপাতাল। এর নির্মাণ কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। প্রথম ডিসেম্বরে এই ভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর তা নিয়ে চীন ও সর্বত্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। নতুন বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে শনিবার। তবে তা চীনের অনেক শহরে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
পিবিএ/এএম

আরও পড়ুন...