একদিনে ১৮ জন দেশপ্রেমিক যোদ্ধা করোনা জয় করে ঘরে ফিরলেন। এদের সকলেই বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য। এটা ভাল একটা খবর। এতে অন্য যারা এখনো চিকিৎসাধিন রয়েছেন তাদের জন্য উৎসাহ ব্যঞ্জক বটে।
বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা করোনা-কালে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করছেন। সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য আক্রান্ত। এদের মাঝে ৬ জন সহযোদ্ধা শহিদ হয়েছেন। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। পাশাপাশি যারা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন সকলের আসু রোগমুক্তি কামনা করছি।
করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সরকার ইমপালস হাসপাতাল ভাড়া নিয়েছে। এতে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা সেবায় উন্নতি হলো। যারা নিয়মিত ডিউটিতে রয়েছেন। তারা কিছুটা হলেও এই ভেবে আশ্বস্ত হবেন যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ তাদের সুচিকিৎসায় যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। ড. বেনজীর আহমেদ আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে সহকর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় অতন্ত্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
তবে চ্যানেল ২৪ এ প্রচারিত খবরে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যরা আপদকালীন অবস্থান করছেন এমন কিছু আবাসিক হোটেলের পরিবেশ খুবই নোংড়া। এটার উন্নতি করার দিকে কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিত। কারন এই পুলিশ সদস্যরাই জীবনের ঝুকি নিয়ে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছেন। এখনো করে যাচ্ছেন। প্রয়োজনে রাজধানীর ফাইভস্টার হোটেল গুলি এদের জন্য ছেড়ে দেয়া হোক।
করোনা আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে মানুষের বিপদে পাশে দাড়াতে হয়। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ বাংলাদেশ পুলিশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ রণাঙ্গণের যুদ্ধ যেমন বিশ্বের রণকৌশলবিদদের প্রতিদিনের পাঠ্য। তেমনি বাংলাদেশ পুলিশের করোনা যুদ্ধ জয় ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মানব জাতির ক্রান্তি লগ্নে মানবতার ধ্বজাধারী বাংলাদেশ পুলিশ।
পিবিএ/শতাব্দী আলম