উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় টানা বৃষ্টির পানিতে খাল বিল একাকার হয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে আছে অনেক মানুষ। ভোগান্তিতে রয়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমজীবিরা। কর্দমাক্ত হয়ে আছে গ্রামীন কাঁচা রাস্তাগুলো।
সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারী বৃষ্টিতপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৪৫.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। একই সাথে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাতাসের চাপ অনেকটা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় বাজারগুলোতে মানুষের আনাগোনাও খুব কম। পচন ধরেছে বিভিন্ন সবজী ক্ষেতে। লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
এদিকে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকায় পায়রা সহ সকল সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সাথে সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদে থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
কৃষকরা জানান, বৃষ্টিপাত চলমান থাকলে তাদের ক্ষেতের ফসল ব্যাপক ক্ষতি হবে। একই সাথে লোকসানে পড়বেন তারা।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক কামাল হোসেন জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে করলা চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে এসব করলা গাছের গোরায় পানি জমে গেছে। বৃষ্টির পানি অপসারন হলে পচন ধরেতে পারে বলে তিনি আশংঙ্কা করেছেন।
ব্যবসায়ি মো. মনির মিয়া বলেন, বৃষ্টিতে একেবারে সবকিছুতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বাজারে মানুষের উপস্থিতি একেবারেই কম।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী সাংবাদিকদের জানান, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। যার কারণে উপকূলীয় এলাকায় আরও ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।