পিবিএ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ এখন অনেকটাই জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রতিদিনই দুই দফা পানিতে প্রবেশ করে তলিয়ে যায় গ্রামে পর গ্রাম। এমন কি অনেক বাড়িতে উনুনে হাড়িও ওঠেনি। ওইসব বানভাসি মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এ্যাভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ওই ইউনিয়নের ভাঙ্গন কবলিত পশরবুনিয়া, চারিপাড়া ও মুন্সিপাড়া গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক হতদরিদ্র নারী পুরুষের হাতে তিনি এ খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন।
এসময় উপজেলা যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাকির হোসেন, পৌর যুব লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো.যুববাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম হায়দার মিঠুসহ স্থানীয় যুবলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাগর ও নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে গত কয়েকদিন ধরে লালুয়ার চারিপাড়া বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে রাবনাবাদ নদীর জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ১২ থেকে ১৩টি গ্রাম প্রতিনিয়ত প্লাবিত হচ্ছে। এর ফলে ওইসব গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেকের বসত ঘর পানি ঢুকে পরায় রান্না ও করতে পারেনি তারা। এমনকি ফসলি জমিও পনিতে তলিয়ে রয়েছে। ঠিক সেই মূহুর্তে ওইসব দরিদ্র মানুষের হতে খাদ্য সহায়তা তুলে দেয়ায় খুশি হয়েছে তারা।
লালুয়া ইউনিয়নের বানভাসি মানসুরা বেগম বলেন, জোয়ারের পানি উইড্ডা সব ডুইব্বা গ্যাছে। নদীতে পানি বাড়লে আমাগো নাওয়া খাওয়া ঘুম হারাম হইয়া যায়। মোগো বিপদের কোন শেষ থাকে না। বিপদের সময় যে মোগো পাশে দাঁড়াছে তারে যেন আল্লাহ সহায় করেন।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এ্যাভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনায় নিজ অর্থায়নে ওইসব মানুষের হাতে এ সামান্য খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। তার এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পিবিএ/উত্তম কুমার হাওলাদার/এসডি