কাঁচা মরিচের ‘ঝালে’ কৃষকের হাসি

শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত(লালমনিরহাট): কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় হাসি ফুটেছে লালমনিরহাটের মরিচ চাষিদের মুখে। দুই সপ্তাহের মধ্যে দাম বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। মুনাফা বেশি পাচ্ছেন চাষিরা।

কম বেশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় মরিচের চাষ হলেও বন্যায় আর ভারী বৃষ্টিতে দেশের নিম্নাঞ্চলের মরিচ ক্ষেত পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। ফলে বাজারে মরিচের যোগান অনেকটাই কমে এসেছে। তুলনামূলক উঁচু অঞ্চলের মরিচ ক্ষেতে এখনো মরিচ সংগ্রহ করছেন চাষিরা।

জেলার আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ি, ভেলাবাড়ি ও সদর উপজেলার বড়বাড়ি, মোগলহাট ও পাটগ্রাম উপজেলায় কাঁচা মরিচের চাষাবাদ কিছুটা বেশি। তবে সব থেকে বেশি চাষাবাদ হয় বড় কমলাবাড়ি গ্রামে। এ গ্রামটির মাঠের পর মাঠ কাঁচা মরিচের ক্ষেত।

চাষিরা জানান, সারা বছর বিভিন্ন জাতের কাঁচা মরিচ চাষ করেন কৃষকরা। তবে বর্ষাকালে বাজারজাত করতে এসব অঞ্চলের চাষিরা উঁচু জমিতে চৈত্র মাসে জমি তৈরি করে মরিচের চারা রোপণ করেন। এরপর নিড়ানি, সেচ, সার দিয়ে পরিচর্যা করলে তিন মাসের মধ্যে ফল আসে। আবহাওয়া ভাল থাকলে এসব ক্ষেতের মরিচ ভাদ্র মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়।

বর্ষাকালে নিম্নাঞ্চলের মরিচ ক্ষেত বন্যায় ডুবে নষ্ট হওয়ায় এ সময় মরিচের বাজার দর বেড়ে যায়। তাই এই মরিচ চাষে বেশ মুনাফা পাচ্ছেন চাষিরা। যাদের এক সময় খাবার নিয়ে চিন্তা ছিল তারা এখন বাড়ি গাড়ির মালিক বনে গেছেন শুধুমাত্র চাষাবাদ ও সবজির ব্যবসা করে।

এ অঞ্চলের চাষিদের কাছ থেকে ক্ষেত থেকেই মরিচ কিনে ঢাকা চট্টগ্রাম কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় পাইকারি বাজারে বিক্রি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

দিনভর ক্ষেত থেকে মরিচ কিনে রাতে ট্রাকে পৌঁছে দেন পাইকারি বাজারে। সেখানে তা বিক্রি করে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পণ্যের টাকা চলে আসে। এভাবে বড় সবজির বাজার তৈরি হয়েছে লালমনিরহাটে।

আদিতমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলীনুর রহমান বলেন, চলতি বছর এ উপজেলায় ১৪২ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজার দরও ভালো থাকায় বেশ মুনাফা পাচ্ছেন চাষিরা। উঁচু অঞ্চলের মরিচ ক্ষেত আরো এক মাসের অধিক সময় ফলন দেবে। সবমিলে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...