কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত

পিবিএ,ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী তথা আহমদিয়া মুসলিম জামাত অনুসারীরা যেহেতু হযরত মুহাম্মদ সা.কে শেষ নবী মানে না এজন্য তারা অমুসলিম বা কাফের। তাই তাদেরকে সরকারিভাবে অমুসলিম বা সংখ্যালঘু ঘোষণা করতে হবে। আগামী ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারী পঞ্চগড়ে জাতীয় ইজতেমা নামে ঈমান বিধ্বংসী, ইসলাম- মুসলমান ও শেষ নবী বিরোধী অপতৎপরতা বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

বুধবার এক বিবৃতিতে চরমোনাই বলেন, আহমদীয়া মুসলিম জামাত নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায় বিশ্বের সকল মুসলিমদের মতে অমুসলিম বা কাফের। সৌদি আরব, মিশর, কাতার, কুয়েত, তুরস্কসহ বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রে আহমদীয়া মুসলিম জামাত নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে।

পীর বলেন, কাদিয়ানীরা যেহেতু মুসলমান নয়, তারা অন্যান্য অমুসলিম সম্প্রদায়ের মত বসবাস করবে। ইসলামী নাম, পরিভাষা, নামাজ-রোজা ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবে না। তাদের উপাসনালয়কে মসজিদ বলা যাবে না, বলতে হবে ‘উপাসনালয়’। সৌদি সরকার আহমদীয়া মুসলিম জামাত নামধারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে হজ্জের ভিসা প্রদান করে না।

এরপরও প্রকাশ্যে রাসূল সা. এর দুশমন কাদিয়ানীরা জাতীয় ইজতেমা’র নামে সহজ সরল ধর্ম-প্রাণ মুসলমানদের ঈমান হরণের সভা আয়োজনের অপতৎপরতা অত্যন্ত দুঃখজনক। কাদিয়ানী সম্প্রদায় কুরআন শরীফের তাফসীর প্রকাশসহ ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর প্রকাশনার কারণে সরকার তাদের সকল প্রকাশনা বাতিল করার পরেও এভাবে প্রকাশ্যে ইজতেমার আয়োজন রাসুল প্রেমিক ঈমানদার জনতার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই না।

পিবিএ/হক

আরও পড়ুন...