রাজধানীর কামরাঙ্গীচর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ঔষধ (ইনজেকশন) জব্দসহ ভেজাল ঔষধ প্রস্তুত ও বিক্রয় চক্রের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-লালবাগ বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-মো. মাঈন উদ্দীন ঘরামি (৪০), মো. সবুজ (৪৫), মো. বাচ্চু (২৬) ও মো. চান মিয়া (৭০)।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ৯টায় কামরাঙ্গীরচর থানাধীন আলীনগর বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ২৬৫ প্যাকেট ভেজাল ঔষধ (ইনজেকশন) সহ পুরাতন ব্যবহৃত বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
ডিবি-লালবাগ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পাওয়া যায়, কামরাঙ্গীচর থানাধীন আলীনগর বাজার চৌরাস্তা এলাকায় নকল ঔষধ বিক্রয়ের একটি চক্র বিপুল পরিমাণ ভেজাল ঔষধসহ অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি-লালবাগ বিভাগের একটি চৌকস টিম উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় উল্লিখিত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের সহযোগী ১২/১৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত হতে ৯০ প্যাকেট Rhophylac 300, Human anti-D (Rh), Immunoglobulin, Switzerland ইত্যাদি লেখা ভেজাল ঔষধ (ইনজেকশন), ১৭৫টি G-PETHIDINE Injection (PETHIDINE HYDROCHLORIDE BP),গনস্বাস্থ্য ফারমাসিউটিক্যালস ইত্যাদি লেখা ভেজাল ঔষধ ও পুরাতন ব্যবহৃত বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ও পলাতকদের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীচর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা ভেজাল ঔষধ প্রস্তুত ও বিক্রয় চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ব্যবহৃত ইনফিউশন সেট/ ট্রান্সফিশন সেটসমূহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ভাংগারির দোকান হতে সংগ্রহ করে নতুন করে পলিথিনে প্যাকেটজাত করে মিটফোর্ড ঔষধ মার্কেটে বিক্রয় করতো। তারা বিক্রয়ের উদ্দেশে জব্দকৃত ভেজাল ঔষধগুলো তাদের হেফাজতে রেখেছিল মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।