পিবিএ, সিরাজগঞ্জঃ একটি প্রাচীন পেশা যার কাজ লোহার জিনিষপত্র তৈরি করা। আর্থিক সংকট, লোহ শিল্পের প্রয়োজনীয় উপকরণে দুষ্প্রাপ্যতা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আধুনিক চাষাবাদ এবং ক্রেতা স্বল্পতার কারণে কামার সম্প্রদায়ের জীবনে নেমে এসেছে দুর্দিন। তারা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এছাড়া সরকারি সাহায্য সহযোগিতার অভাব, ব্যাংক বা এজিওর ঋণ না পাওয়া, তাদের তৈরি জিনিসের চাহিদা কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণের কামাররা বদলাচ্ছেন বাপ-দাদার ঐতিহ্যবাহী পেশা।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল বাজারের শুকুমার কর্মকার(৩৮) বলেন , বাপদার আমল থেকে এ পেশায় জড়িত। অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করছি। বর্তমানে আমাদের তৈরিদা, বঁটি, খুন্তি, কোদাল, কাস্তে, বেলচা, কুড়াল, কাটারি, ছেনি, নিরানি, কাঁচি ইত্যাদি তৈরি করে। জিনিসগুলো বাজারে বিক্রি বা এ কাজ করে দিনে ২০০-২৫০ টাকা আয় হয়।কিন্তু এ টাকা দিয়ে পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করা খুন কঠিন ।
একই এলাকার প্রফুল্ল কর্মকার(৬৫) বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে এ কাজ করছি। বর্তমানে আমাদের এ কাজ তেমন হয় না। কুরবানীর ঈদের সামনে কিছু কাজ হয় আর ধান কাটার সময় কিছু কাজ হয়। তাছাড়া কাজ হয় না। সারা বছর অনেক কষ্ট করে চলতে হয়।
তাছাড়া লোকজন এখন এসব লোহার পণ্য তেমন একটা ব্যবহার করতে আগ্রহী নয়। যার ফলে ক্রেতার সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। লোহা জাত শিল্পের এসব সংকটের কারণে পেশাদার কর্মকাররা তাদের বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশা গ্রহণ করছে।
আব্দুল্লাহ আল মারুফ/পিবিএ/বাখ