পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ তথা পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান শনিবার আদিয়ালা কারাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছেন। চুক্তির শর্তানুযায়ী তার সঙ্গে দেখা বা বৈঠক করার জন্য তিনজনকে ফোকাল পারসন হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
জিও নিউজ জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আদিয়ালা জেলের সুপারিনটেনডেন্টের স্বাক্ষরযুক্ত নথি অনুসারে, পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর খান, শের আফজাল মারওয়াত এবং ব্যারিস্টার উমাইর নিয়াজিকে তার ফোকাল পারসন হিসেবে নিয়োগ করেছেন ইমরান খান।
আদালতের নির্দেশে সম্পাদিত চুক্তির শর্তানুসারে, প্রত্যেক ফোকাল পারসন প্রতি সপ্তাহে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার জন্য দুটি নাম সরবরাহ করবেন, যারা প্রত্যেক মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যদের এবং তার আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাবেন।
খবরে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট আদালতের আদেশের আলোকে কারাগারের অভ্যন্তরে বৈঠক করার বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হওয়ার পরই এই ডেভেলপমেন্ট হলো।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটি বলছে, চুক্তির শর্তানুসারে মিটিংয়ের সময় হবে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে এবং প্রতিটি সেশনে সর্বাধিক ৬ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুর দিকে পাঞ্জাব সরকার বন্দিদের নিরাপত্তার কারণে কারাগারের অভ্যন্তরে মিটিং করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পাঞ্জাবের তথ্যমন্ত্রী আজমা বুখারি জানান, এই পদক্ষেপ ইমরানের খানের বৈঠককে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়নি, বরং প্রকৃতপক্ষে একটি গুরুতর হুমকির প্রেক্ষিতে সতর্কতার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ (সিটিডি) তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে এবং তাদের কাছ থেকে আদিয়ালা জেলের একটি মানচিত্র, একটি হাতবোমা এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) উদ্ধার করার পর এই নিষেধাজ্ঞা আসে।
রাওয়ালপিন্ডি সিটি পুলিশ অফিসার (সিপিও) খালিদ হামদানির মতে, পুলিশ সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।
সিপিও আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তান থেকে এসেছিল, তাদের বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।
এর আগে গত বছরের ৭ নভেম্বর পুলিশ আদিয়ালা জেল থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে রাওয়ালপিন্ডির গোরখপুরের আদিয়ালা রোডের কাছে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বোঝাই একটি সন্দেহজনক ব্যাগ খুঁজে পায়।