কালিয়াকৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বৈদ্যুতিক পাখা নষ্ট, দুর্ভোগে রোগীরা

ফজলে রাব্বি, পিবিএ, কালিয়াকৈর (গাজীপুর): একের পর এক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বৈদ্যুতিক পাখা। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় এসব পাখা সংস্কারও করা হয়নি। যার ফলে কয়েকদিনের তীব্র গরম অতিষ্ট হয়ে পড়েছে রোগীরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে ভোক্তভূগীদের। তারা দ্রুত এ সমস্যার সমধান দাবি করেছেন।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে ও রোগীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন গ্রাম মহল্লার লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। এছাড়াও অন্য জেলা-উপজেলা, পৌরসভার লোকজন এখানে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। এ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রতিদিন ৪৫০ থেকে ৫০০ রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকে। কিন্তু গত কয়েক দিনের অতিরিক্ত গরমে ডাইরিয়া, কলেরা, জ্বর, শাসকষ্টসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ড ও মহিলা ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে পর্যপ্ত বৈদ্যুতিক পাখা সেগুলো একের পর এক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

আবার যে পাখাগুলো আছে সেগুলোও পুরাতন হওয়ায় তাতে তেমন কোন বাতাস পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে কেউ হাতা পাখা কিনে, কেউ বাড়ি থেকে টেবিল ফ্যান এনে, কেউ চিকিৎসার ফাইল দিয়ে কোন রকম গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বারবার নার্স এবং ডাক্তারদের অবহিত করেও কোন কাজ হয়নি। হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তিরত কালিয়াকৈর এলাকার সুমাইয়া আক্তার। তিনি বলেন, জ্বর নিয়ে গত তিন ধরে হাসপাতালে আছি। তার শয্যার ওপরের পাখাটি নেই। গরম তো আর সহ্য হয় না। বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে একটি টেবিল ফ্যান নিয়ে এসেছেন। তার মামা আবু সাইদ জানান, ওই ওয়ার্ডে ১২টি

পাখার স্থলে একটি নেই ও দুটি পাখা নষ্ট রয়েছে। কাউকে বলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। পুরুষ ওয়ার্ডে এক্সেরে ফাইল দিয়ে বাতাস দিচ্ছেন রোগীর স্বজন বৃদ্ধ সিদ্দিক আলী।এছাড়া ওই ওয়ার্ডের ১২টি পাখার মধ্যে ৪টি পাখা নষ্ট। একই কথা বলেন, পাশের শয্যায় ভর্তি আনিছুর রহমান। শুধু এরাই নন, এসব সমস্যার কথা জানিয়েছেন ওই হাসপাতালে ভর্তি অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনরাও। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত এ সমস্যার সমধান দাবি করেছেন।

বেশকিছু পাখা নষ্ট বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোঃ খায়রুজ্জামান বলেন, এই গরমে রোগীরা কষ্ট করছে। এইচইডি ইঞ্জিনিয়ারকে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এই ফ্যানগুলো লাগানোর জন্য। আশা করি দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হবে।

পিবিএ/জেডআই

আরও পড়ুন...