আরিফ মোল্ল্যা,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ইউপি চেয়ারম্যানগণ কারাগারে ও নিরুর্দ্দেশ থাকায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকগণকে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনায় আর্থিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ওই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম।
প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া ইউনিয়ন গুলি হলো- ১নং সুন্দরপুর দূর্গাপুর, ২নং জামাল, ৩নং কোলা, ৪নং নিয়ামতপুর, ৫নং সিমলা রোকনপুর, ৯নং বারবাজার ও ১১নং রাখালগাছী ইউনিয়ন পরিষদ।
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক কপিতে প্রশাসক নিয়োগের ওই আদেশটি দেন। কপিতে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৩, ১০১ ও ১০২ অনুয়ায়ী এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ শাখার ১৯ আগষ্ট ২০২৪ তারিখের জারীকৃত পরিপত্রের আলোকে প্রশাসক নিয়োগ করে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পন করা হলো।
কালীগঞ্জ ইউএনও জানান, গেল ৫ আগষ্টের পর থেকে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে ৩ জন চেয়ারম্যান কারাগারে ও ৪ জন চেয়ারম্যান পরিষদে আসেন না। তাদের অনুপস্থিতিতে পরিষদের বিভিন্ন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ জনগণ। সরকারী উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডও পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছে। এসব বিবেচনায় সরকারী পরিপত্রের আলোকে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মহোদ্বয় প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন।
এদিকে উপজেলার ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু কারাগারে থাকলেও সেখানে কোন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে ইউএনওর মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, এখন মিটিংয়ে রয়েছেন, বিষয়টি পরে দেখে জানাবেন।