পিবিএ ডেস্ক: আজ রোববার পহেলা বৈশাখ, বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বছর ১৪২৬। পহেলা বৈশাখ বাঙালি জীবনে এসেছে পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে। জীর্ণ-পুরাতনকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করবে বাঙালি জাতি।
আজ পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মাতবে দেশ। সকালে ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী জুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।
সূর্যোদয়ের সময় রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটের শিল্পীদের বৈশাখের আগমনী রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ দিয়ে দিনব্যাপী উৎসবের শুরু হয়েছে।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ দিন নানা ঐতিহ্যবাহী উৎসব আর আনন্দে মেতে উঠবেন।
ছয় শতাধিক বছর আগে বাংলা বছর চালুর পর থেকেই পহেলা বৈশাখ পালন বাঙালির অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।
মুঘল সম্রাট আকবর তৎকালীন সুবে বাংলা থেকে জমির খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা সন চালু করেন।
পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটির দিন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন এবং দেশবাসীসহ সারাবিশ্বের বাংলাভাষীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ হিসেবে বছরের এ দিনে দেশের ব্যবসায়ীরা নতুন হালখাতা খোলেন এবং গ্রাহক ও অতিথিদের মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়িত করেন।
দেশের সর্ববৃহৎ এ সাংস্কৃতিক উৎসবের দিনে তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ লাল-সাদা পোশাক পরে রাস্তায় নেমে আসেন। উৎসবের আয়োজন হিসেবে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা বের করেন মঙ্গল শোভাযাত্রা।
বাঙালির সমৃদ্ধ সংস্কৃতি অনুসারে দেশবাসী এ দিনে বাড়ি, রেস্টুরেন্ট বা মেলায় ইলিশ, কাঁচা মরিচ ও পেয়াজ দিয়ে পান্তাভাত খান।
এদিকে, নির্বিঘ্নে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে অনুষ্ঠানস্থলে কেউ মুখোশ পরতে এবং ভুভুজেলা বাজাতে পারবেন না। মঙ্গল শোভাযাত্রা পুলিশ ঘিরে রাখবে এবং ভবনের ছাদ থেকে নজরদারি চালানো হবে।
পিবিএ/এএইচ