রিজভী বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মহাতামাশার নির্বাচন। চরম মিথ্যাচার, অনুশোচনাহীনতা ও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে নির্লজ্জভাবে ম্যানুফ্যাকচার্ড ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে নিজেরা আত্মপ্রসাদ লাভ করলেও জনগণকে বোকা বানানো যায়নি।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ‘প্রহসনের নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন, আইন-আদালত, পুলিশ-প্রশাসন সবই ভুয়া ভোটের সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গুলি হেলনে উঠবস করতো। ধূর্তামি, শঠতা ও নির্মম দমন-পীড়নের মাধ্যমে অনেক আগে থেকেই নির্বাচনি মাঠ কব্জায় নিয়ে তারা একতরফা নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। সারাদেশে তারা ভয়-ভীতির শিহরণ সৃষ্টি করে। ভোটের মাঠ শুন্য করতে সরকারি প্রশাসন মহা-তৎপরতায় লিপ্ত ছিল। মূলত, রক্তাক্ত মূর্তি নিয়েই তারা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার আত্মসাৎ করে।’
রিজভী বলেন, ‘আগামীকাল বুধবার সেই ভুয়া ভোটের সংসদ বসছে। এই সংসদ গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রেতাত্মা। এই সংসদ গণবিরোধী, এই সংসদ নিরস্ত্র ভোটারদের ওপর অবৈধ সরকারের অবৈধ ক্ষমতা প্রদর্শনকারী গণশত্রুদের আড্ডাঘর। এই সংসদ ইতিহাসের ম্যান্ডেটবিহীন ক্ষমতালোভীদের সম্মিলন হিসেবে বিবেচিত হবে সর্বত্র। আগামীকাল ভুয়া ভোটের সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সুকোমল বড়ূয়া, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পিবিএ/এআর