একটানা কাশি খুব বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। কারই বা সহ্য হয় একটানা খকখক কেশে যেতে? এর থেকে দ্রুত মুক্তির পথ খুঁজি আমরা। সাধারণত ঠান্ডা ও ফ্লুয়ের কারণে কাশি হয়। তবে অ্যালার্জি, অ্যাজমা, এসিড রিফ্লাক্স, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও এ সমস্যা তৈরি হতে পারে। আপনার ডক্টর আজ জানাবে কাশি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়ের কথা।কাশি
কাশি কমানোর ৬ ঘরোয়া উপায়
মধু: মধু কাশি কমাতে সাহায্য করে এবং গলাব্যথা কমায়। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, মধু কখনো কখনো কাশিরোধী ওষুধগুলোর চেয়েও ভালো কাজ করে। মধু শ্লেষ্মা কমাতে সাহায্য করে। তবে এক বছরের নিচের শিশুদের মধু খাওয়াবেন না। এতে খাদ্য বিষাক্ত হওয়ার সমস্যা হতে পারে। কফ কমাতে এক কাপ লেবুমিশ্রিত চায়ের মধ্যে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
শক্ত ক্যান্ডি খেতে পারেন
এক পিস ক্যান্ডি খেয়ে দেখতে পারেন। ক্যান্ডি শক্ত কফ নরম করে দিতে সাহায্য করে এবং কফ কমায়।
হলুদ : কাশি নিয়ন্ত্রণে হলুদ রীতিমতো ঐতিহাসিক ঘরোয়া উপাদান! এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়া এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি দ্রুত কফ কমাতে সাহায্য করে।
আদা ও লেবুর শরবত : কাশি কমাতে লেবুর শরবতের মধ্যে আদা কুচি মিশিয়ে খেতে পারেন। আদা শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে এক চা চামচ মধুও মেশাতে পারেন।
লবণ পানি : লবণ পানি বুকের সর্দি দূর করতে অনেক উপকার করে থাকে। বুকের সর্দি বা কফ এমন একটি সমস্যা , যার ফলে ঠিক মত কথা বলা যায় না এবং মাথা সবসময় ভার হয়ে থাকে। কফ দূর করতে সহজ এবং সস্তা উপায় হল লবণ পানি। লবণ শ্বাসযন্ত্র থেকে কফ দূর করতে সাহায্য করে খুব তাড়াতাড়ি।
এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে দিনে দুই তিনবার কুলকুচি করুন। কফ অনেকটা কমে যাবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার : ভিনেগারের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এক কাপ কুসুম গরম পানিতে দুই চা চামচ বিশুদ্ধ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সাথে এক চা চামচ মধু মেশান। এইবার এই পানীয়টি দিনে দুই তিনবার পান করুন। এক দুই সপ্তাহ পান করুন। দেখবেন বুকের কফ অনেক কমে গেছে।
