কাশ্মীরি নারীদের সম্মান রক্ষা করা আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব: শিখ নেতা

পিবিএ ডেস্ক: ভারতীয় সংবিধানে কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতারা যখন কাশ্মীরি তরুণীদের নিয়ে সস্তা ও অশ্লীল মন্তব্য করে যাচ্ছেন, তখন শিখ নেতারা তাদের সম্প্রদায়কে ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে কাশ্মীরি মেয়েদের রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতের ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।

শিখ অকাল তখতের জাঠেদার গৈনি হারপিট সিং এক বিবৃতিতে বলেন, কাশ্মীরি মেয়েদের নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যেসব নির্দেশনা দিচ্ছেন, তা কেবল অবমাননাকরই না; ক্ষমার অযোগ্য।

শিখদের সর্বোচ্চ পার্থিব আসন হচ্ছে অকাল তখত। এটির জাঠেদার হলেন শিখদের মুখপাত্র।

গৈনি হারপিট সিং বলেন, কিছু লোক কাশ্মীরি কন্যাদের ছবি সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করছেন, এতে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এতে নারীদের অবমাননা করা হয়।

‘এ ছাড়া এসব লোকজন ভুলে যাচ্ছেন যে, একজন নারী হচ্ছেন- একজন মা, একজন কন্যা, একজন বোন ও একজন স্ত্রী। নারীদের সন্তান ভূমিষ্ঠের ক্ষমতা আছে।’

তিনি বলেন, কাশ্মীরি নারীরা আমাদের সমাজেরই অংশ। কাজেই তাদের সম্মান রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। কাশ্মীরি নারীদের সম্ভ্রম রক্ষায় শিখদের এগিয়ে আসতে হবে। এটিই আমাদের দায়িত্ব, এটিই আমাদের ইতিহাস।

প্রসঙ্গত শিখ সম্প্রদায়ের এক দিল্লি নিবাসী ব্যক্তি কয়েক দিন আগেই মহারাষ্ট্রে আটকেপড়া ৩৪ কাশ্মীরি মহিলাকে বিভিন্ন মাধ্যমে অনুদানের সাহায্যে নিজের বাড়ি পৌঁছে দেন।

এদের টিকিট কেনার জন্য চার লাখ টাকার প্রয়োজন ছিল। আর সেই অর্থই অনুদানের মাধ্যমে জোগাড় করে কাশ্মীরি মেয়েদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন এই সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি।

গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা হরণের পর বিজেপির পক্ষ থেকে একাধিক নেতা ভারতীয় তরুণদের আহ্বান জানান যে, তারা যেন কাশ্মীরে গিয়ে সেখানকার ফর্সা মেয়েদের বিয়ে করেন।

এর পরই শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে কাশ্মীরি নারীদের সহায়তায় এগিয়ে আসার এসব ঘটনা ঘটছে।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...