পিবিএ ডেস্ক: ইতিমধ্যে আসামে প্রকাশিত হয়েছে এনআরসি । এনআরসির তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ মানুষ। বর্তমানে এই মানুষগুলো রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছে। এনআরসি রাজ্যে যেমন ক্ষোভ ও উৎকণ্ঠা দেখা যাচ্ছে তেমনই জম্মু-কাশ্মীরে মোতায়েন করা আসামের মিলিটারিরাও উদ্বিগ্ন। টেলিফোন, ইন্টারনেটের মতো যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ থাকায় তাঁরা পরিবার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। তাই এনআরসি নিয়ে উদ্বেগ আরও বেশি। উপত্যকায় এখনও অনেক জায়গায় কার্ফু জারি রয়েছে। শ্রীনগরের রাস্তায় থমথমে অবস্থা। কারণ মিলিটারিদের অনেকের বাড়ি আসামে।
ওই জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ৩ আগস্ট আসাম থেকে কাশ্মীরে আনা হয়েছে তাঁদের। উপত্যকায় পৌঁছানোর পরে মাত্র এক বার পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলতে পেরেছিলেন। কারণ, ৫ আগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগের সব মাধ্যম। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তিন সেনা জানালেন, সে দিন থেকে আর বাড়ির খবর তাঁরা জানেন না।
এনআরসি তালিকায় তাঁদের নাম থাকবে কি না তা নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই আসামের বাসিন্দা কাশ্মীরে নিয়োগপ্রাপ্ত মিলিটারিদের। তাঁদের প্রশ্ন, ‘কী ভাবে খবর নেব নাম রয়েছে কি না? এখানে ফোন কাজ করছে না। ইন্টারনেটও নেই যে এনআরসি ওয়েবসাইট থেকে দেখে নেব। আমাদের পরিবার, আত্মীয়স্বজন সকলের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে। অথচ আমরা কিছুই জানতে পারব না।আমরা বলতে গেলে রণক্ষেত্রে।’ এর মধ্যে বন্যা হয়েছে আসামে। দুর্যোগের পর পরিজনেরা কেমন আছেন তা জানতে না পেরে ছটফট করছেন ওই জওয়ানেরা।সূত্র: সিএনএন ও দৈনিক আজকাল
পিবিএ/বাখ