কাশ্মীরে গ্রেনেড হামলা সাংবাদিক ও পুলিশসহ আহত ১০

পিবিএ ডেস্ক: কাশ্মীরে কাউফিউ অবস্থায় শনিবার গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে । হামলায় এক সাংবাদিক ও এক পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে।কাশ্মীরের দক্ষিণাঞ্চলের শহর অনন্তনাগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি টুইটবার্তায় এ হামলার জন্য জঙ্গিদের দায়ী করা হয়। খবর রয়টার্সের।

পুলিশের ওই টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘অনন্তবাগে জঙ্গিরা গ্রেনেড ছুঁড়েছে। পুরো এলাকাটিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘেরাও করা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’ পুলিশের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, হামলায় খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সরকারের প্রশাসনিক দপ্তরের কাছেই গ্রেনেড হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। কাশ্মীর অবরোধের দুই মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রশাসনিক ভবনকে লক্ষ্য করে এরকম হামলার ঘটনা এবারই প্রথম।

৫ আগষ্ট ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পরপরই সেখানকার জনগণ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরো কাশ্মীর উপত্যকায় কারফিউ জারি করে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। মুসলামান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যটির অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দী ও আটক করা হয়। সেখানকার ইন্টারনেট পরিষেবা ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে জনগণকে বহির্বিশ্ব থেকে একরকম একঘরে করে ফেলে ক্ষমতাসীন বিজেপি। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপ ও সমালোচনার মুখে উপত্যকার কিছু অংশে কারফিউ শিথিল করা হয়। কিন্তু ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে কাশ্মীরজুড়ে।

দক্ষিণ কাশ্মীরের ডিআইজি একে গোয়েল বলেন, ‘অনন্তনাগের লাল চকে সকাল সাড়ে ১০ টায় অতর্কিতভাবে গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। ওই সময় শহরের বাসিন্দারা দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। জনমনে ত্রাস সৃষ্টির জন্যই জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এই হামলার ব্যাপারে কোন বিবৃতি আসেনি। এর আগে কাশ্মীর ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদী সরকার মন্তব্য করে, ভারতের সার্বিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্যই কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন বাতিল করা হয়েছে।

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...