পিবিএ ডেস্ক: ভারত অধ্যুষিত কাশ্মীর ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য থাকা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার বিলুপ্তির দুইমাস পর বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে পুনরায় পর্যটকদের জন্য খুলে গেলে ভূস্বর্গখ্যাত কাশ্মীরের দরজা। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজ্যের এক সরকারি আদেশে জুম্মু কাশ্মীরে পর্যটকদের ভ্রমণ সুবিধা পুনরায় চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়, যারা রাজ্যের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখতে চায় তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা ও লজিস্টিক সাহায্য নিশ্চিত করা হবে। এর আগে ৭ অক্টোবর রাজ্যের মুখ্য সচিব ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতি’ মূল্যায়ন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন গভর্নর সত্যপাল মালিক। সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সুরক্ষা সতর্কতা জারি করার পরেই চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে হাজার হাজার পর্যটক, তীর্থযাত্রী, শ্রমিক ও অন্যান্য রাজ্যের শিক্ষার্থীদের জম্মু ও কাশ্মীর ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
পর্যটন দফতর কর্মকর্তাদের মতে, যখন এই আদেশ দেওয়া হয় তখন ছিলো উপত্যকার পর্যটন মৌসুমের সেরা সময়। প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যটক তখন উপত্যকায় উপস্থিত ছিলেন। ভারতের কেন্দ্র সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ সরিয়ে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে উপত্যকার টেলিফোন এবং ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেখানে সাধারণ জনগণকে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। অবরোধের দরুণ বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয় কাশ্মীর।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পর্যটনই এই অঞ্চলের অর্থনীতির মূলভিত্তি। গত আগস্টের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছিলো এখানকার অর্থনীতি। কেননা উপযুক্ত মৌসুমে উপত্যকাটি ছিল পর্যটকবিহীন। সরকারি এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জুন মাসে ১লাখ ৭৪ হাজার পর্যটক কাশ্মীর সফর করেছেন এবং জুলাই মাসেই ৩ হাজার ৪০৩ জন বিদেশি পর্যটকসহ ১ লাখ ৫২ হাজার পর্যটক কাশ্মীর ভ্রমণে আসেন। অথচ আগস্টে পর্যটকদের আগমনের তেমন কোনও তথ্যই নেই।
পিবিএ/বাখ