কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে-বোন আটক

পিবিএ ডেস্ক: আবারও উত্তাপ ছড়াচ্ছে কাশ্মীর। দুই মাস অবরুদ্ধ থাকার পর সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সব বিধি নিষেধ ওঠছিল, ঠিক তখনই গ্রেনেড হামলাকে কেন্দ্র আবারও উত্তাল হচ্ছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি। চাঁপা ক্ষোভ নিয়ে থেমে থাকা মানুষগুলো গর্জে ওঠছে রাজপথে।

এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার শ্রীনগরের লালচক এলাকায় সরকারবিরোধী মিছিল করেন অনেকজন নারী। উত্তাল শ্রীনগরে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ধাওয়া করে অনেক নারী বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহর মেয়ে ও বোনও ছিলেন বলে এনডিটিভির এক খবরে জানা গেছে।

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। এরপর প্রায় চার মাস পুরো রাজ্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ চারমাস কাশ্মীরের প্রায় সব রাজনৈতিক নেতা ও তাদের পরিবারগুলোকে গৃহবন্দী করে রাখে মোদি সরকার।

অবশেষে ১৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জম্মু ও কাশ্মীরকে আলাদা করে কেন্দ্রের অধীনে নিয়ে আসা হয়। এর প্রতিবাদে বেশ কয়েকজন নারী প্রতাপ পার্কে জড়ো হয়। এ সময় তাদের হাতে ছিলো প্ল্যাকার্ড। এক পর্যায়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে্ তারা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয় এবং বেশ কয়েক জন নারীকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে ফারুক আব্দুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও ছিলেন কাশ্মীরের সাবেক প্রধান বিচারপতি বশির আহমদ খানের স্ত্রী হাওয়া বশির। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অন্যদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদও ছিলেন।

আটক হওয়ার সময় সুরাইয়া বশির সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট আমাদেরকে বাড়ির ভেতর আটকে রেখে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সুরাইয়া ‘জোর করে বিয়ে’ দেয়ার সাথে তুলনা করে ‘বিয়ে’ টিকবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।

উল্লেখ্য, কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা বাতিলের পর থেকে সরকার রাজ্যের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ ও উমর আব্দুল্লাহসহ সেখানকার নেতৃস্থানীয় কয়েকশ’ নেতাকে গৃহবন্দী ও আটক করে রাখে। পাশাপাশি রাজ্যটিকে কেন্দ্র শাসিত দুটি রাজ্যে ভাগ করার ঘোষণা দেয়। অবশেষে ১৩ অক্টোবর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করে বিজেপি সরকার।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...