কাশ্মীর নিয়ে পদত্যাগ করলেন ভারতের সরকারি কর্মকর্তা

পিবিএ ডেস্ক: ‘ভেবেছিলাম সিভিল সার্ভিসে থেকে মানুষের বক্তব্য তুলে ধরতে পারব। দেখলাম আমার কণ্ঠই রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।’ এই লিখেই পদত্যাগ করেছেন ভারতের একজন সফল সরকারি কর্মকর্তা। কান্নান গোপীনাথের নানা কাজে সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। কেরালার বন্যার সময় তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। বিপুল লোকসানে চলা ভারতের দাদরা নগর হাভেলির বিদ্যুৎ দপ্তর তার প্রশাসনিক ক্ষমতার বলেই লাভজনক সংস্থায় পরিণত হয়। মিজোরামে তার অনুপ্রেরণাতেই ৩০টি ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছেন গোপীচাঁদ। এমন একজন আইএএস কর্মকর্তা কান্নান গোপীনাথ এবার পদত্যাগ করলেন। তার দাবি, কাশ্মীরের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই লোভনীয় সরকারি চাকরি ত্যাগ করেছেন ৩৩ বছর বয়সী কান্নান গোপীনাথ।

দাদরা নগর হাভেলির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের সচিব ছিলেন কান্নান। ২০১২ ব্যাচের এই আইএএস কর্মকর্তা বহু ক্ষেত্রে প্রশংসিত। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার পাওয়ার জন্যও তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। যদিও, তিনি নিজেই পুরস্কারের জন্য আবেদন করেননি। কান্নানের ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, তিনি বরাবরই পেশার ক্ষেত্রে সৎ। এবং প্রকৃত দেশসেবার লক্ষ্যেই তিনি আইএএস হয়েছেন, পুরস্কারের লোভে নয়। হঠাৎই তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তে চমকে গিয়েছেন বন্ধুরাও।

কিন্তু, কেন পদত্যাগ? ইস্তফাপত্রে ‘কাশ্মীর’ কথাটি উল্লেখ না করলেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি লিখেছেন, ‘ভেবেছিলাম সিভিল সার্ভিসে থেকে মানুষের বক্তব্য তুলে ধরতে পারব। দেখলাম আমার কণ্ঠই রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।’

আইএএস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ায় কান্নান ক্ষুব্ধ। তার কথায়, মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ার অর্থ জরুরি অবস্থা জারি হওয়া।

একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে কান্নান বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে লক্ষ লক্ষ মানুষের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অথচ, দেশের বেশিরভাগ মানুষ কোনো প্রতিবাদ জানাচ্ছে না। ২০১৯ সালে দাঁড়িয়ে এটা হচ্ছে, ভাবা যায় না। ৩৭০ বিলাপটা ইস্যু নয়, ইস্যু হলো মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এমনকী একজন প্রাক্তন আইএএস অফিসারকে বিমানবন্দরে আটক করা হল। অথচ কেউ কোনো প্রতিবাদ করল না।

গোপীনাথের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি অনেক নেটিজেন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একটা অংশে তাকে দেশবিরোধী আখ্যা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...