পিবিএ ডেস্ক: গবেষণায় দেখা গেছে তেঁতুলে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, ই এবং বি রয়েছে৷ এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ডায়াটারি ফাইবার যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণই উপকারী। তেঁতুল শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার, যা শরীরে পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।
তেঁতুলের নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা: তেঁতুল একটি ফ্যাট ফ্রি খাবার৷ এতে উচ্চ মাত্রায় ফাইবারও আছে৷ গবেষণায় প্রমাণিত রোজ তেঁতুল খেলে ওজন কমে। তেঁতুলে থাকা হাইড্রক্সাইটিসট্রিক এসিড খিদে কমিয়ে দেয়৷ ফলে কমে ওজন৷
তেঁতুলের বীজ ডায়বেটিক রোগীদের পক্ষে উপকারী৷ তেঁতুল বীজে এমন একধরনের এনজাইমের দেখা মেলে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে৷ পেট ব্যথা বা কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা থেকে সমাধানে তেঁতুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তেঁতুলের মধ্যে টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড এবং পটাশিয়ামের উৎস যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তেঁতুল একাধিক ভিটামিন ও মিনারেলের ভান্ডার৷ ব্লাড প্রেসার, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেই কাজে লাগানো যেতে পারে তেঁতুলকে৷ তেঁতুলে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা ত্বকের পক্ষে ভীষণই উপকারী । কিডনি ফেলিওর এবং ক্যান্সার রোধেও তেঁতুলের ভূমিকা আছে৷ তেঁতুল গাছের পাতা এবং ছালের অ্যান্টি সেপটিক এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ালের গুণের জন্য ক্ষত সারাতে কাজে লাগানো হয়৷
ব্রণের সমস্যা দূর করতেও উপকারী তেঁতুল। মরা কোষ তুলতে ও ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে তেঁতুল৷ এছাড়া তেঁতুল আল্ট্রাভায়োলেট রে থেকে ত্বককে রক্ষা করে৷ রক্তাল্পতাতেও উপকারী তেঁতুল৷ এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা অ্যানিমিয়া নিরাময়ে কাজ দেয়৷ এছাড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় তেঁতুল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
পিবিএ/হক