কিম-ট্রাম্পের দ্বিতীয় বৈঠক হ্যানয়ে

Kim-Trump

পিবিএ ডেস্ক : দিন-ক্ষণ ঠিক হয়েছিল আগেই। এবার স্থানও নির্ধারন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাল টুইট করে জানালেন, ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসতে চলেছেন ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে। সঙ্গে এটাও জানালেন যে, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে কিমের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমেরিকার কথাবার্তা বেশ ভাল দিকেই এগোচ্ছে।

বৈঠক ফলপ্রসূ করতে আগাম কিছু আলোচনা সারতে মার্কিন প্রতিনিধিদল পিয়ংইয়ং রওনা হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তার কথায়, ‘কিমের মুখোমুখি হওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। কোরীয় উপদ্বীপ তথা বিশ্বে শান্তির জন্য আমাদের এক টেবিলে বসাটা জরুরি।’

গত বছর জুনে সিঙ্গাপুরে প্রথম বার বৈঠক হয়েছিল কিম-ট্রাম্পের। যৌথ বিবৃতিতে দুই রাষ্ট্রনেতাই জানিয়েছিলেন, পরমাণু অস্ত্র ছাড়তে রাজি পিয়ংইয়ং। কিন্তু বিরোধী ডেমোক্র্যাট শিবিরের দাবি, কিমের দেশ এখনও পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের কথা গোপন করেই সিঙ্গাপুরের বৈঠকে বসেছিলেন কিম। তাই দ্বিতীয় বৈঠকের প্রসঙ্গ উঠতেই বেঁকে বসেছিলেন ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্প যদিও বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি বৈঠক করবেনই।

হ্যানয়ের বৈঠক নিয়ে হোয়াইট হাউস প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে। উত্তর কোরিয়া বিষয়ক বিশেষ দায়িত্ব প্রাপ্ত মার্কিন প্রতিনিধি স্টিফেন বিগান গত বুধবার থেকে তিন দিন পিয়ংইয়ংয়ে এ নিয়ে কথা বলেছেন কিমের প্রতিনিধি কিং ইয়ং চলের সঙ্গে। বৈঠকের আগে ফের কথা হবে দু’জনের। শোনা যাচ্ছে, এবারের বৈঠকে পিয়ংইয়ংয়ের উপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথাও ভাবছে ট্রাম্পের প্রশাসন। উত্তর কোরিয়ার তরফে যদিও বৈঠক নিয়েই কোনও বিবৃতি মেলেনি। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে পুরোপুরি পরমাণু অস্ত্র মুক্ত হোক উত্তর কোরিয়া। আর এটা যে কঠিন, তা বেশ ভালই বুঝতে পারছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠরা। প্রেসিডেন্ট তবু কিমের গুণ গেয়েই চলেছেন। টুইটে বলছেন, ‘উনি (কিম) হয়তো অনেককেই চমকে দিতে পারেন। কিন্তু আমাকে পারবেন না। খুব ভাল ভাবে চিনি ওকে। আমার বিশ্বাস, কিম দ্রুত তার দেশকে অর্থনৈতিক উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবেন।’

পিবিএ/জিজি

আরও পড়ুন...