পিবিএ,কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে একটি যাত্রীবাহী বাসে শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৪) নামে এক নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গজারিয়া জামতলী নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৩) কটিয়াদি উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি রাজধানী ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে নার্স হিসাবে কর্মরত ছিলেন বলে পরিবার জানিয়েছে।
তানিয়া সোমবার বিকেলে বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসে ওঠার পর তানিয়া তার বাবা ও ভাইদের সাথে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কথা বলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসটি কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে তিনি ভাইকে মোবাইল ফোনে জানান পাঁচ সাত মিনিট লাগবে তার পিরিজপুর পৌঁছাতে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের তথ্য দিয়ে বলছে, বাসটি রাত সাড়ে ৯টার দিকে কটিয়াদি আসার পর তানিয়া ও অন্য দুই যাত্রী ছাড়া সবাই নেমে যায়। উজানচর এলাকায় ওই দুই যাত্রীও নেমে যায়। বাসটি গজারিয়া এলাকায় পৌছালে চালক ও সহকারী তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে দেয়। সেখান থেকে এলাকাবাসী তাকে কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তানিয়ার বড় ভাই বাদল মিয়ার অভিযোগ, ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
পরিদর্শক শফিকুল বলেন, এ ঘটনায় চালক নূরুজ্জামান ও সহকারী লালু মিয়াকে আটক করা হয়েছে। আর তানিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সরদর হাসহাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
তানিয়ার ভাই কফিল উদ্দিন সুমন জানান, তার বোনের সাথে একটি এলইডি ১৯ইঞ্চি টেলিভিশন, একটি স্যামসাং অ্যানড্রয়েড মোবাইল ফোন ও বেতনের ১৫-১৬ হাজার টাকা ছিল।
কটিয়াদী থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ড্রাইভার নূরুজ্জামান (৩৯) ও তার সহকারি লালন মিয়াকে (৩৩)আটক করা হয়েছে। শাহিনুরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, ব্যাগ, কাপড়-চোপড় পাওয়া গেছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
পিবিএ/এএইচ