পিবিএ,ডেস্ক: গাড়িতে করে বেড়ানোর প্রলোভনে পড়ে সম্ভ্রম হারাতে বসেছিল এক কিশোরী। তবে আশ্চর্জজনকভাবে একদল বিষাক্ত পিঁপড়া বাঁচিয়ে দিয়েছে তাকে।
ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের সুকামাজুয়েতে ২৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি পরিচিত এক কিশোরীকে নিয়ে গাড়িতে করে বেড়াতে বের হয়। পথে কয়েকবার মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়, অশোভন আচরণ করে। কিন্তু মেয়েটি তা প্রত্যাখ্যান করে।
এমন বিপদজনক পরিস্থিতি থেকে অসহায় কিশোরিটি বাঁচার পথ খুঁজছিল। যাত্রাপথে এক গ্রামে গাড়িটি থামলে সে পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু তাকে পাকড়াও করে ফের গাড়িতে নিয়ে যায় টনি ইরাওয়ান নামের ওই ব্যক্তি।
এরপর টনি ভালোমানুষি আচরণ করে স্বাভাবিক ভাব দেখায়। কিছুক্ষণ পরে গাড়ি ধোয়ার বাহানা করে অপর একটি নির্জন গ্রামে থামে। কিন্তু হঠাৎই মেয়েটিকে সে গাড়ি থেকে বের করে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে সে ধর্ষণে প্রবৃত্ত হয়। সম্ভ্রম হারানো থেকে মেয়েটির বাঁচার আর কোনো রাস্তা নেই যখন ঠিক তখনি চিৎকার দিয়ে ওঠে টনি।
জঙ্গলের ওই মাটির মধ্যে ছিল বিষাক্ত কালো পিঁপড়েদের ঘাঁটি। দলে দলে পিঁপড়ের কামড়ে দিশেহারা হয়ে মেয়েটিকে ছেড়ে দেয় দুর্বৃত্ত। এই সুযোগে মেয়েটি পাশের গ্রামের দিকে দৌড়ে যায় চিৎকার করতে করতে।
গ্রামবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় টনিকে। তবে বিষ পিঁপড়ার কামড় থেকে রক্ষা পায়নি মেয়েটিও। কিন্তু ধর্ষণের মতো ভয়াবহ ঘটনার শিকার হওয়ার তুলনায় তা কিছুই না।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে টনি ইরাওয়ানের তিন থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
পিবিএ/এফএস