কি কারনে মিন্নির মুখ চেপে ধরলো পুলিশ

পিবিএ: রিফাত হত্যা কাণ্ডের চাঞ্চল্যকর মামলায় গ্রেফতার হওয়া মামলার প্রধান সাক্ষী ও তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নিকে রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই জবানবন্দি নিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আদালতে তোলা হয়। এরপর মিন্নি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে মিন্নি স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এর আগে রিফাত হত্যা মামলায় প্রথমে সাক্ষী থাকলেও পরে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এখন তিনিও রিফাত হত্যা মামলার আসামি।

গত বুধবার (১৭ জুলাই) পুলিশের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রিফাত হত্যা মামলায় স্ত্রী মিন্নিকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। সেদিন মিন্নির পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।এ দিকে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে মিন্নির বাবা মোজ্জাম্মেল হোসেন আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। এ সময় তিনি চিৎকার করে বলছিলেন, তার মেয়ে অসুস্থ, গতকাল রাতে একজন পুলিশ সদস্য তার বাসায় গিয়ে চিকিৎসাপত্র নিয়ে এসেছেন। আজকে জোর জবরদস্তি ও নির্যাতন করে তার মেয়ের কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

মোজ্জাম্মেল হোসেন আরও বলেন, ‘মেয়ে আমার জীবন বাজি রেখে তার স্বামীকে রক্ষা করতে গেছে। এটাই তার অপরাধ? এসব কিছুই শম্ভু বাবুর (স্থানীয় সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু) খেলা। তার ছেলে সুনাম দেবনাথকে সেভ করার জন্য আমাদের বলি দেওয়া হচ্ছে।’মিন্নিকে যখন আদালত থেকে বের করা হচ্ছিলেন, তখন তাকে পুলিশের দুজন নারী সদস্য ধরে ছিলেন। ছোট পিকআপে তোলার সময় মিন্নি কিছু একটা বলার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন। কিন্তু পাশে থাকা নারী পুলিশ সদস্য এ সময় মিন্নির মুখ চেপে ধরেন।

এর আগে, বরগুনা পুলিশ লাইনন্সে এনে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রিফাত হত্যায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় মিন্নিকে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) গ্রেফতায় দেখায় বরগুনা জেলা পুলিশ।এ মামলায় মিন্নিসহ এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোরে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিনজনসহ সাত আসামি হ ত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমানে ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

পিবিএ/জেআই

 

আরও পড়ুন...