কীভাবে বুঝবেন আপনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন?

পিবিএ ডেস্কঃ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে গেলে শরীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকা প্রয়োজন। আজকের জেট যুগে সহজভাবে নিরিবলিতে দু’দণ্ড বসে থাকার সময় নেই। সবাই ছুটে চলেছেন। আর এসবের মাঝেই আমাদের গ্রাস করছে ক্লান্তি, বিষণ্ণতা ও অবসাদ। আমাদের মানসিকভাবে অস্থির করে তুলে সুস্থ জীবনযাপনকে ধ্বংস করে দিতে পারে অবসাদ। তবে এর মধ্যেই এসবের সঙ্গে লড়াই করে যেতে হবে। কেন দিন দিন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন বুঝতে পারছেন না? চিকিৎসক দেখিয়ে, ওষুধ খেয়েও কোনও কাজ হয়নি? বলা হয়, যদি আপনি আগে থেকে জেনে যান কোন জিনিসের সঙ্গে আপনাকে লড়তে হবে তাহলে কিছুটা সুবিধা হয়। ফলে নিচে দেখে নিন আপনার অবসাদের আসল কারণগুলি।

আপনার জীবনে নেতিবাচক মানুষের প্রভাবঃ অফিস হোক বা বাড়ি, যে কোনও জায়গায়ই আপনাকে যদি এমন মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা করতে হয় যারা নেতিবাচক এনার্জির ডিপো, তাহলে তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। এরা আপনাকে অবসাদগ্রস্ত করে তুলবে।

বাড়িতে মতের অমিল বা ঝগড়াঃ অফিসে ঝুট-ঝামেলা তাও সামলে নেওয়া যায়, তবে যদি বাড়িতেও একই পরিস্থিতির শিকার হতে হয় তাহলে অবস্থা হয় সঙ্গীন। ছোটখাটো মতানৈক্য হতেই পারে, তবে কখনই তা বাড়তে দেবেন না।

কোলাহলঃ আপনার বাড়ি বা কর্মক্ষেত্রে যদি অবাঞ্ছিতভাবে কোনও শব্দ সারাক্ষণ বাজতে থাকে, বা খুব কোলাহলপূর্ণ জায়গায় যদি আপনি বসবাস করেন তাহলে তা আপনাকে অবসাদগ্রস্ত করে তুলবে খুব সহজেই।

নেশাঃ তামাকজাত দ্রব্য হোক বা মদ্যপান, দুটোই শরীরের দিক থেকে যেমন খারাপ, তেমনই তা মানসিকভাবেও আপনাকে পিছিয়ে দেয়, অবসাদ বাড়িয়ে তোলে।

আরও নিখুঁত হতে চাওয়াঃ যে কোনও কাজে ‘পারফেকশন’ রাখতে চাওয়াটা ভালো, তবে সেদিকে বেশিমাত্রায় মনোযোগ দিতে গিয়ে অবসাদে ভুগবেন না। মনে রাখবেন, সব দিক কারও সমান যায় না।

বেশি মাত্রায় রাগ বা বিরক্তিঃ প্রকাশ অনেক সময় রাগ চেপে না রেখে তা প্রকাশ করে দেওয়া উচিত। তবে সবসময় রেগে যাওয়া বা বিরক্তি প্রকাশ আপনাকে অবসাদগ্রস্ত করে তুলতে পারে।

বেশিমাত্রায় ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে আসক্তিঃ মোবাইলের মতো আধুনিক গ্যাজেটের ব্যবহার আমাদের জীবনে অবসাদের মাত্রা বাড়িয়ে তুলছে। ফলে যতটা পারবেন, এইসব গ্যাজেট থেকে দূরে থাকুন।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...