কীভাবে শাশুড়ির মন জয় করবেন?

পিবিএ ডেস্কঃ এমনটা নয় যে একমাত্র পুত্রবধূরই দায়িত্ব শ্বশুরবাড়ির সকলের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তৈরি করা কিন্তু কিছুটা দায়িত্ব তাঁর দিক থেকেও থেকেই যায়। শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কটা সহজ হয়ে গেলেই কিন্তু অনেকটা নিশ্চিন্ত হন মেয়েরা। রইল কয়েকটি সহজ টিপস যা মেনে চলে সম্ভবত ক্ষতি হবে না তেমন—

১. শাশুড়িকে শুধু ‘মা’না বলে ‘মামণি’ বা ‘আম্মু’ বলুন। বউয়ের মুখে এমন আদুরে ডাক শুনলে অনেকটা মানসিক দূরত্ব কমে যায়। তবে শাশুড়ির যদি এই ডাকে আপত্তি থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গেই অভ্যাস পালটে নিন। তাঁর ইচ্ছেমতো ডাকেই তাঁকে ডাকুন।

২. বিয়ের পর প্রথম প্রথম তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। এক দু’বছর পরে সম্পর্ক সহজ হয়ে গেলে দেরি করে উঠলে অতটা ক্ষতি নেই কিন্তু প্রথমদিকে বউ দেরি করে উঠলে শাশুড়িদের মধ্যে নানা ধরনের জটিল ভাবনা খেলা করে। সেই থেকেই বউয়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়।

৩. বিয়ের পরেই বেশিরভাগ মায়ের মনে হয় যে ছেলে বুঝি এখন বউয়ের, আর মায়ের নেই। ভাবনাটা অযৌক্তিক বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। তাই বিয়ের পর পরই ঝামেলা এড়াতে এবং শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্কটা সহজ করতে প্রথম প্রথম একটু বেশি সময় দিন তাঁকে, সেটা বসার ঘরে হোক বা কিচেনে।

৪. শাশুড়ি যা ভালবাসেন, বই বা সিনেমা বা শপিং, সেই হবিতে তার সঙ্গী হয়ে যান। কখনও হঠাৎ করে বই উপহার দিন অথবা সিনেমার টিকিট কেটে সারপ্রাইজ দিন। এতেই তিনি বেশ খুশি হবেন।

৫. কথায় কথায় নিজের বাপের বাড়ির গল্প জুড়বেন না। এতে শাশুড়িরা বিরক্ত হন। বরং শাশুড়ির থেকে শ্বশুরবাড়ির কথা বা তাঁর বাপের বাড়ির কথা জানতে চান। এতে তাঁরা খুশি হন।

৬. শাশুড়িকে সম্ভব হলে নিজে হাতে সাজান। একটু নতুন ধাঁচে চুল বেঁধে দেওয়া বা যেমন শাড়ি তিনি পরেন, তার চেয়ে অন্য রকম শাড়ি তাঁকে উপহার দেওয়া এই আর কী। নতুন হেয়ারকাটও ট্রাই করতে পারেন।

৭. মাঝেমধ্যে শাশুড়ির সঙ্গে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করুন এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য আত্মীয়দের ট্যাগ করুন। এতে সম্পর্ক আরও সহজ হবে।

৮. কখনও শ্বশুর বা স্বামী অথবা শশ্বরবাড়ির অন্য কারও সঙ্গে শাশুড়িকে নিয়ে হাসিঠাট্টায় অংশ নেবেন না। বরং এসব ক্ষেত্রে শাশুড়ির পক্ষ নিন অথবা চুপ করে থাকুন।

৯. শাশুড়ির সেবা করার অর্থ দাসী হয়ে যাওয়া নয়। মনে রাখবেন সুস্থ সম্পর্ক তৈরি করতে গেলে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে হয়। কখনও ঝগড়া করবেন না। চুপ করে থেকেও প্রতিবাদ জানানো যায় এবং তাতে প্রতিপক্ষ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে।

১০. স্বামীর উপর আপনার অধিকার বেডরুমের বাইরে খুব একটা প্রকাশ না করাই ভাল। ছেলেকে খেতে দেওয়া, ছেলের জামাকাপড় গুছিয়ে রাখা ইত্যাদি বিষয়গুলি শাশুড়িরা ছেলের বিয়ে দেওয়ার পরেও করতে থাকেন। এই সবে বেশি মাথা ঘামাবেন না। আগ বাড়িয়ে সে সব কিছু করতে গেলে বরং উল্টো সমস্যা হতে পারে। শাশুড়িকে বরং সময় দিন যাতে তিনি নিজেই ওই সব দায়িত্ব আপনার হাতে তুলে দেন।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...