পিবিএ,কুমিল্লা: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ চালু হবার পর থেকেই একটিমাত্র শ্রেণিকক্ষে চলছে পুরো বিভাগের পাঠদান। ফলে নির্ভর করতে হয় অন্য বিভাগের শ্রেণিকক্ষ ফাঁকা থাকার উপর। আজ বিভাগের ক্লাসরুম কিংবা অন্য বিভাগের কোনো ক্লাসরুম ফাঁকা না পাওয়ায় ঐ বিভাগের চতুর্থ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হয়েছে খোলা আকাশের নিচে।
২০১৬ সালে বিভাগটি চালু হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট চারটি ব্যাচের শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। যাদের সব ব্যাচকেই নির্ভর করতে হয় একটিমাত্র শ্রেণিকক্ষ এবং অন্য বিভাগের ফাঁকা ক্লাসরুমের উপর। আবার অন্য বিভাগের ক্লাসরুম ফাঁকা থাকলেও যদি ক্লাসের মাঝে ঐ বিভাগের ক্লাসের সময় হয় তবে মাঝপথেই বেরিয়ে যেতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
আজ মঙ্গলবার ২.১৫ মিনিটে একই সময়ে রুটিন অনুযায়ী দ্বিতীয় এবং চতুর্থ ব্যাচের ক্লাস হওয়ার কথা। কিন্তু ঐ সময়ে দ্বিতীয় ব্যাচের বিভাগের শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চালু থাকায় চতুর্থ ব্যাচের ঐ কোর্সের শিক্ষক মাহমুদুল হাসান রাহাত অন্য কোনও বিভাগেরও ক্লাসরুম ফাঁকা না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষক মাহমুদুল হাসান রাহাত বলেন, “আমার শিডিউল ক্লাস ছিল কিন্তু কোন ক্লাসরুমই ফাঁকা পাইনি। শিক্ষক হিসেবে তো আর দায়িত্ব এড়াতে পারিনা। তাই খোলা আকাশের নিচেই ক্লাস নিয়েছি।”
শুধু শ্রেণিকক্ষ সংকটই নয় বিভাগটিতে রয়েছে শিক্ষকদের বসার জায়গার অভাব।মোট সাতজন শিক্ষককে বসতে হয় দুইটি কক্ষে। বিভাগীয় প্রধাণের জন্য নেই আলাদা কোন কক্ষ। নেই শিক্ষার্থীদের জন্য কোন সেমিনারও।
এ প্রসঙ্গে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধাণ মোঃ বেলাল হুসাইন বলেন, “বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমাদের এই শ্রেণিকক্ষ সংকট চলছে। তবুও বিভাগে কোনদিন ক্লাস বন্ধ থাকেনি। প্রকৌশল অনুষদের নির্মাণকাজ চলছে। সেটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে বাণিজ্য অনুষদের ভবনে বর্তমানে সিইসি বিভাগ যেখানে আছে সেখানে আমাদের বিভাগ স্থানান্তর হবে। তখন শ্রেণিকক্ষ সংকট এবং শিক্ষকদের বসার জায়গার সংকট লাঘব হবে।
পিবিএ/এনএইচ/এমএসএম