মনির হোসেন,কুমিল্লা: মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কথা নিয়ে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ভাইয়ের ছোট ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৮-মে) উপজেলার দৌলখাঁড় ইউপির সোন্দাইল গ্রামের পূর্ব পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ হোসেন মিয়া (৪০) ওই গ্রামের মৃত. ইউছুফ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় ছয় জনকে আটক করে নিয়ে আসে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, বড় ভাই দুলাল, তার স্ত্রী কাজল বেগম, ছেলে সহিদ, আরমান, জালালের স্ত্রী রেহেনা বেগম ও ছেলে ফারুক। অপরদিক অন্য দু’ঘাতক জালাল ও আজিম পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছু দিন পূর্বে বড় ভাই দুলালের দু’ছেলে সহিদ (২৮) ও আরমান হোসেন (২১) ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। তাদের চাচা হোসেন মিয়া ওই দু’ভাতিজাকে বাড়ি থেকে বাহির না হতে নিষেধ করেন। পাশাপাশি তাদরে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলেন। এতে ভাতিজারা ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা হোসেন মিয়াকে গাল মন্দ করে।
উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বড় ভাই দুলাল, তার ছেলে সহিদ, আরমান, আজিম, জালাল ও তার ছেলে ফারুকসহ ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র দিয়ে হোসেন মিয়াকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তার আত্মচিৎকারে আসেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক কাছে নিয়ে গেলে ওই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী কহিনুর বেগম বলেন, সকালে তার স্বামী এক আত্মীয়ের জায়নামাজের নামাজ শেষে বাড়িতে আসেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে ভাই ও ভাতিজাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ পর্যায়ে তারা লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে হত্যা করে। তিনি এ হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত করে আসামিদের বিচারের দাবি জানায়।
অভিযুক্ত বড় ভাই দুলাল বলেন, বাড়ির জায়গা নিয়ে তার ভাইয়ের সাথে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার দুপুরে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে পিটাপিটি হয়। সে যে মারা যাবে তা কখনো ভাবি।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাই ভাইয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভাই ভাতিজারা মিলে হোসেন মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়। বাদির অভিযোগ আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সোমবার (১৮-মে) বিকেলে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেণ করা হয়।
পিবিএ/বিএইচ