যেখানে মানবাধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে, নারী ও শিশু পাচার/নির্যাতন/অপহরণ এর কোনো ঘটনা ঘটেছে; র্যাব তৎক্ষণাৎ ভিকটিম অথবা নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে শিশু অপহরণ ও নির্যাতনের মত মানবতা বিবর্জিত অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে র্যাব।
প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে এযাবত পর্যন্ত অপহরণের সাথে জড়িত সাড়ে ৫ হাজারের অধিক আসামিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে এযাবত পর্যন্ত অপহরণকৃত ৪ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছে।
গত ২০ ডিসেম্বর রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল হতে নবজাতক শিশু চুরি হয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী বৃষ্টি আক্তার (২৪) তার নবজাতক শিশুকে ফিরে পেতে ক্যান্টমেন্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
উক্ত নবজাতক শিশু চুরি হওয়ার ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। র্যাব চুরি হওয়া নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধারসহ জড়িতের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করতে থাকে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার একটি আভিযানিক দল সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরখান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নবজাতক শিশু চুরির সাথে জড়িত হাসিনা বেগম (৩৮)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করা হয় চুরি হওয়া নবজাতক শিশুটিকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত নবজাতক শিশু চুরির সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে, ভুক্তভোগী বৃষ্টি আক্তার কিশোগঞ্জের নিকলি এলাকার বাসিন্দা। তিনি তৃতীয় সন্তান প্রসবের আগে উন্নত চিকিৎসার আশায় রাজধানীতে মায়ের কাছে আসেন। গত ১৯ ডিসেম্বর তার প্রসব ব্যথা উঠলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং রাত ২২০০ ঘটিকায় তিনি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন।
পরবর্তীতে গত ২০ ডিসেম্বর সকালে বৃষ্টি আক্তার তার পাশের বেডে রোগী দাবী করা এক নারীর কাছে নবজাতক শিশুটিকে রেখে তার মায়ের সাথে ওয়াশ রুমে জান। ভুক্তভোগী ওয়াশ রুম থেকে ফিরে এসে পাশের বেডের রোগীসহ নবজাতক শিশুটিকে সেখানে খুজে পায় না। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।