কুড়িগ্রামে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকরা

পিবিএ,কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলার সর্বত্রই ইরি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মহাউৎসব চলছে। ব্যস্ত সময় পাড় করছে কৃষক-কৃষাণীরা। বৈরি আবহাওয়া থাকলেও এবার ক্ষতির সম্ভাবনা কম। সরেজমিনে জানা গেছে উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই রঘুরায়, যমুনা, বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের ফকির মোহাম্মদ, সাতভিটা, আঠারো পাইকা, রামেশ্বর শর্মা, কামদেব, বোতলা, দলন, জলঙ্গার কুটি, গলাকাটা, উলিপুর পৌরসভার মালতী বাড়ি, পূর্ব নাওডাঙ্গা, পশ্চিম নাওডাঙ্গা, শিববাড়ী, নারিকেল বাড়ি, হায়াত খাঁ, জোনাইডাঙ্গা, রামদাস ধনিরাম, আব্দুল হাকিম, নিজাই খামার, রাজারাম ক্ষেত্রী, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া, আকেল মামুদ, ইসলামপুর, বালাডোবা, সেখপালানু, সাহেবের আলগা ইউনিয়নের নামাজের চর, গেন্দার আলগা, সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড়, নয়ারহাট, মালভাঙ্গা, কৃষ্ণপুর, যাত্রাপুর ইউনিয়ন সহ ৭৪টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে সেচ দ্বারা বিভিন্ন জাতের ইরি ফসল আবাদ করে।

ধান কাটা ও মাড়াই
ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরা

বৈরি আবহাওয়া তেমন না থাকায় ইরি ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। ফণির ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা কৃষকরা আতঙ্ক হয়ে পড়ে। তবে গত ২ মে বৃহস্পতিবার রাত থেকে সারাদিন ঝড়ো হাওয়া সহ গুড়িগুড়ি বৃষ্টি থাকায় ফসলের তেমন ক্ষতি না হলেও ৯টি উপজেলায় জলাবদ্ধতা এলাকায় অধিকাংশ ধানে ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গত দু’দিনে কৃষকরা

ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। গোড়াই রঘুরার কৃষক আবুল, শামসুল, জাবেদ জানান, প্রতি শতক ৮০ টাকা দরে দিন মজুরী করছেন। বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক হাবিবুর রহমান, ছকমাল হোসেন, ছোমেদ আলী, আহম্মদ আলী অনেকেই জানান, ৪’শ টাকা দরে দিন হাজিরা হিসেবে ধান কাটার কাজ করছি। এ ব্যাপারে উলিপুর কৃষি অধিদপ্তরের কৃষি উপ-কর্মকর্তা সাজেদুল করিম জানান, গত দু’দিনের ঝড়ো বৃষ্টিতে ফসলের তেমন কোন ক্ষতি সাধিত হয়নি।

দু’একটি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার কারণে পাকাধান মাটিতে লুটে পড়ায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে অধিকাংশ কৃষকরা জানান, এবারে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই ধান কাটা মাড়াই করে গোলায় উঠানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

পিবিএ/এমআইবি/আরআই

আরও পড়ুন...