পিবিএ,কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে অনেক চড়াই-উৎরাই এঁর পর পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেল ৩৩ জন যোগ্য প্রার্থী । নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান ও তাঁর সহকারীরা। কুড়িগ্রাম পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাণিজ্য ঠেকাতে নিয়োগের প্রথম দিন থেকে নিয়োগের বিষয়ে যেকোন ধরনের আর্থিক লেনদেন না করার জন্য সকল অভিভাবকের নিকট প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু পরবর্তীতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায় যে, কতিপয় অসাধু পুলিশ সদস্য ও সিভিল স্টাফ এই চক্রের সাথে জড়িত, তখন এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেন জেলা পুলিশ সুপার।তিনি চাকুরীর জন্য দালালদের দেয়া টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিতে পেরে শান্তি পেয়েছেন।
জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ বিভাগীয় ব্যবস্থার আওতায় নেওয়া হয়েছে। শাস্তি স্বরূপ পাঁচ জনকে ক্লোজড এবং বাকিদেরকে অন্যত্র বদলী করানো হয়েছে। হেড কোয়ার্টার্স এর দুই প্রতিনিধি সদস্য এবং নিয়োগ বোর্ডের বাকি সদস্যরা মিলে অনেক চেষ্টা পরে অবশেষে একটি স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সক্ষম হন এবং সত্যিকারে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদান করেন । সেই সাথে তিনি সকল প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা, পারিবারিক অবস্থা, শারীরিক সক্ষমতা বিচার করে নির্বাচনের চেষ্টা করেন।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি অনেকটা শ্লোগানের সুরে বলেন, ১০৩ টাকায় নয়, মেধা ও যোগ্যতাই হবে নিয়োগের মাপকাঠি। গত দুই সপ্তাহে ধরে আমরা কড়া নজরদারি করে দেখেছি কারা কারা জমি বিক্রি করেছে সে সকল তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করার চেষ্টা করেছি এবং কেউ কোন প্রতারকের টাকা দিয়েছে কিনা সে গুলোও বিস্তারিত ভাবে দেখেছি। আমি বিশ্বাস করি এবার সূযোগ পাওয়া ছেলে-মেয়েরা কর্ম জীবনে আমাদের এই প্রচেষ্টার মূল্যায়ন করবে।
পিবিএ/এমআই/বিএইচ