পিবিএ,কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসা ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ঘটেছে কুড়গ্রামের সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা হত্যা মামলা করতে চাইলেও ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মামলা না নিয়ে অপমৃত্য মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
মামলা সূত্রে জানা গেছে উপজেলার বাউশমারী এলাকার ফরহাদ হোসেনের মেয়ে ফাহিমা খাতুন তার মামার শ্বশুর বাড়ি কামাত আঙ্গারিয়ায় বেড়াতে যায় প্রায় ৫দিন আগে। এরমধ্যে বুধবার দুপুরে ফাহিমা দার বাবাকে ফোনে ডেকে তাকে নিয়ে যেতে বলে। এরমধ্যে ঘন্টাখানেক পর তার কাছে ফোন করে আত্বীয়ের বাড়ি থেকে। বলা হয় তার মেয়ে অসুস্থ্য। কিন্তু গিয়ে দেখতে পায় তার মেয়ে বেঁচে নেই। সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তাকে জানানো হলেও কোথায় কিভাবে ফাঁস দিয়েছে তা বলতে পারেনি।
পরে মেয়ের মা-চাচাসহ অন্যান্যরা গিয়ে দেখতে পায় ফাহিমার যৌনাঙ্গে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। সেখানে কাপড়ের টুকরো দিয়ে রক্ত বন্ধের চেষ্টা করা হয়েছে। পরে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। রাতে ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করতে আসলে অপমৃত্যু মামলা নেয় পুলিশ। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার ৫শতাধিক বাসিন্দা থানায় আসেন মামলা নেয়ার দাবীতে। তবুও মামলা নেননি থানার ওসি। ওসি জানান, ময়নাতদন্তের রিপোার্ট পেলে মামলা নেয়া হবে।
পিবিএ/মমিনুল ইসলাম বাবু/এমএসএম