উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পর্যটন শিল্পকে আরও বিকশিত করতে সাগর কন্যা কুয়াকাটায় এই প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা’। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এর আয়োজন করে। দুই দিনের এ উৎসবকে কেন্দ্র করে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ফিতা কেটে ও পায়রা উড়িয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং বেসরকারী বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন। এর আগে বর্নাঢ্য একটি র্যালী বের হয়। এতে ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সহ পর্যটকরা অংশগ্রন করেন। র্যালীটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে স্থানীয় একটি হোটেলে পর্যটনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, শিল্প মন্ত্রনালয়ের এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো.মাসুদুর রহমান, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো.শওকত আলী, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো.নূর কুতুবুল আলম, পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মো.সাইদুল ইসলাম, কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসেন, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
এ আয়োজনের মূল কেন্দ্রস্থল হচ্ছে সৈকতের পর্যটন পার্কের পশ্চিম পাশে। সেখানে রয়েছে ৬০ টি স্টল। এতে রয়েছে রাখাইন তৈরি পিঠাপুলি, ফিস ফ্রাই, পান্তা ইলিশ, তাত বস্ত্র ছাড়াও স্টলগুলোতে সাজানো রয়েছে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্পে বাংলার অপরুপ সৌন্দর্য। এছাড়া দুই দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা’ এ উৎসবে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফানুস ও ঘুড়ি উড়ানো, ফুটবল, ভলিবল, রাখাইন নৃত্য ও পুতুল নাচ। এমন আয়োজনে কুয়াকাটার ব্যবসায়ীসহ আগত পর্যটকরা অনেকটা উৎফুল্ল।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন টোয়াকের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, দুইদিন ব্যাপী এ উৎসবের সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন, কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন, কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশ,কুয়াকাটা পৌরসভা, ট্যুর অপারেটর,কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাব। এ ফ্যাস্টিভ্যাল উৎসবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কুয়াকাটার প্রতি সবাইকে আকৃষ্ট করতে এ রকম আয়োজন করা হয়েছে।