কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ঢল

পিবিএ,কলাপাড়া (পটুয়াখালী): মেঘলা আকাশ, কোথাও সূর্যের দেখা মিলছে না। বইছে শেষ মুহুর্তের হালকা হিমেল হাওয়া। এরমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসা পর্যটকদের সমুদ্রে ঊম্মাদনা। পর্যটকদের ঢল নেমেছে কুয়াকাটার সৈকত। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটারে সৈকতের পর্যটকদের তিল ঠাঁই নাইরে। কেউ সমুদ্রে গোসল করছে, কেউবা আবার সমুদ্রের বালিয়াড়িতে দৌঁড় ঝাপ দিচ্ছে। অনেকেই সৈকতে বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের বিশালতায় নিজেদেরকে প্রকৃতির সাথে বিলীন করে দিচ্ছে। এমন দৃশ্য নিজেদের বহনকৃত স্মার্ট ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করছেন অনেকেই। করোনার ভয়কে জয় করে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবারের সাথে যুক্ত হওয়া ২১ ফেব্রুয়ারির তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠছে কুয়াকাটা সৈকত। এদিকে আগত পর্যকদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পর্যটকমুখী ব্যবসায়ীরা। এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট, মহিপুর থানা পুলিশ দর্শণীয় জোনগুলোতে টহল অব্যাহত রেখেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, পুরো সৈকতজুড়ে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। দর্শনীয় স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি রয়েছে চোখে পড়ার মত। পর্যটকদের সমাগমকে ঘিরে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীসহ পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত এক শ্রেণীর আসাধু ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের অসহায়ত্ব পুঁজি করে মাত্রাতিরিক্ত হোটেল রুম ভাড়াসহ খাবারের দাম আদায় করছে এমন অভিযোগও রয়েছে।

বগুড়া থেকে আসা পর্যটক দম্পতি নিশাত নাছরিন বলেন, বিয়ের পর এই প্রথম হানিমুনে কুয়াকাটা সৈকতে আসলাম। এখানকার সবকিছুই আমাকে বিমোহীত করেছে। আবাসিক হোটেলগুলো কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা না দিয়ে নিজেদের খেয়াল খুঁশিমত ভাড়া নিচ্ছে। খাবারের গুণগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা এই দম্পতি আরও বলেন, কুয়াকাটা পর্যটকবান্ধব, তবে এখানকার সৈকত ব্যবস্থপনাসহ সব কিছুইতে অব্যবস্থাপনা রয়েছে। সঠিক তদারকি থাকলে আরও পর্যটকদের আগমন ঘটবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অপর পর্যটক মৌসুমী আক্তার বলেন, গত দু’দিন আগে এখানে এসেছি। বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান ঘুরে দেখেছি। ভাল লেগেছে। তবে দর্শণীয় স্থানে যাতায়াতের সড়কগুলো বেহাল দশা। এগুলো দ্রুত সংস্কার ও মেরামত করা প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন তিনি।

কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, তিন দিনের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটকরা এ পার্কে ঘুরতে এসেছেন। আবাসিক হোটেল বীচ হ্যাভেন’র অপারেশন ম্যানেজার বায়জীদ বলেন, পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। আমরা ও চেষ্টা করছি আগত পর্যটকদের সেবা দেবার।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারী জেনারেল মোতালেব শরীফ জানিয়েছেন, তাদের সংগঠনের কোন হোটেলে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নেয় না। তবে, কিছু বে-নামী হোটেলে বেশী ভাড়া নিচ্ছে এমন অভিযোগের কথা তিনিও শুনেছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহরাব হোসেন বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বদা পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও পর্যটন জোনগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করাসহ পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।

পিবিএ/জেডএইচ

আরও পড়ুন...