সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, এই ব্যক্তিদের সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।
বুধবার বিকেলে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হিজলতলা এলাকায় ‘প্রাইম প্যাক প্লাস্টিক’ নামের একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কারখানাটিতে একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিকের গ্লাস, প্লেট ও খাবারের প্যাকেট তৈরি হতো।
সন্ধ্যার পর ঢাকা মেডিকেলে রোগীদের দেখতে আসেন বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওই কারখানাটির কোনো অনুমোদন ছিল না। কারখানাটি কীভাবে সেখানে হলো সে ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেলে আসার আগে তিনি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেলে আহতদের স্বজনদের ভিড় ও আর্তনাদ লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় সাহেরা বেগম নামের এক নারীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, তাঁর দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে ওই কারখানায় মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে। চার বছর ধরে সে ওই কারখানায় কর্মরত। আজ দুর্ঘটনার পরপরই কারখানার লোকেরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে। তার শরীরও পুড়ে গেছে। তাদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে।
পিবিএ/এমএসএম