কেরানীগঞ্জ থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার

পিবিএ,ঢাকা: র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র‌্যাব বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তওে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের মূল হোতা ও সক্রিয় সদস্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে অভ্যন্তরীন শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এই প্রতিষ্ঠান মানুষের কাছে আস্থা ও নিরাপত্তায় অন্য নাম হিসাবে গ্রহণ যোগ্যতা পেয়েছে। কিছু বিপথ গামী লোক ধর্মীয় অপব্যখ্যার মাধ্যমে যুব সমাজকে জঙ্গিবাদের দিকে অগ্রসর করানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এই সমস্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার কওে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র‌্যাব-২ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গোপনসংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল ২৯/০৯/২০২০ইং ২০:১০ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানাধীন আটি বাজার এলাকা হতে আনসার-আল ইসলামের শীর্ষ সক্রিয় সদস্য (১)মোঃ সানোয়ার আলম @ সানোয়ার @ সানাউর রহমান @ পল্লব @ নূও আলম জনি (৩৬), (২) মোঃ শাহ আলম আব্দুল্লাহ @ আব্দুল্লাহ @ একরামা (৪৩)এবং(৩) মোঃ এনামুলহক@ নোবেল@সুমাব@লিটন বি (৩৮), দেরকে উগ্রবাদী বই, লিফলেট ও ০৩টি মোবাইলসহ গ্রেফতার করে।

গত ১০/০৯/২০২০ তারিখে আনসার আল ইসলামের ০৪ জন ক। অমিত হোসাইন@আবুল কালাম@সাগর@অ্যাকশন ওয়ার (৩৮), খ। আল আমিন@ তারিক(৩২), গ। শিহাব উদ্দিন (২১)এবং ঘ। মানিকুজ্জামান@মানিক@রতন@সাইকেল ম্যান (৩২) ও ১৬/০৯/২০২০ তারিখে ০১ জন আবু সায়েম@সিফাত (২৬) নামে শীর্ষ জঙ্গ সদস্য র‌্যাব-২ কর্তৃক ধৃত হয়। তাদের বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। পরবর্তীতে র‌্যাব-২ এর আভিযানিক দল ২৯/০৯/২০২০ তারিখ ২০.৩৫ ঘটিকায় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকার বাদশার মোড় নামক স্থান হতে অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র ইসলামী জঙ্গিবাদী সংগঠন আনসার আল ইসলাম এর ০৩ জন জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত জঙ্গী সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায়, তারা দুই মাস আগে বাড়ি থেকে বাহির হয়। আটককৃত আসামীরা প্রত্যেকে নিয়মিত মাসিক ভিত্তিতে সংগঠনের জন্য চাঁদা সংগ্রহ/প্রদান করতো। গ্রেফতারকৃত আসামীরা ঢাকা/দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র ইসলামী জঙ্গীবাদী বই ও প্রচারপত্র নিজেদের দখলে রেখে ও প্রচার করে নতুন সদস্যদের দলভুক্ত করার কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদের নিকট হতে উগ্র জঙ্গিবাদ বিষয়কবই, লিফলেট পাওয়া যায়। তাছাড়া তাদের সঙ্গে থাকা ইলেক্ট্রনিক গেজেট হতে জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত থাকার সরাসরি প্রমাণ পাওয়া গেছে।

উক্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বাকী সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...