
কেরালার ওয়ানাড়ে আসনে উপনির্বাচনে ৪৮ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কন্যা প্রিয়াংকা গান্ধীভদ্র। এই আসনে পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তারই ভাই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু তিনি একই সঙ্গ কংগ্রেসের ঐতিহ্যবাহী আসন রায়বেরেলিতেও জয় পান। এই আসন রেখে ওয়েনাড়ে আসন ছেড়ে দেন। সেই আসনে উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী তারই বোন প্রিয়াংকা। এর মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক অভিষেক হলো তার। এখনও আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা হয়নি। তবে প্রাথমিক তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, নির্বাচনে প্রিয়াংকা এ পর্যন্ত ৫১,৯৩০ ভোট পেয়েছেন। সিপিআই-এর বর্ষীয়ান নেতা সত্যায়ন মোকেরি ১৪ হাজার ৬২৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন। ৭,৬১৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন বিজেপির প্রার্থী নব্যা হরিদাস।
এই আসনে প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র সহ মোট ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উল্লেখ্য, এই আসন থেকে প্রথমবার ২০১৯ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। একই সময়ে তিনি আমেথি আসনে পরাজিত হয়েছিলেন। ফলে তখন তাকে এ আসনটি ধরে রাখতে হয়। কিন্তু এ বছর তিনি ওয়েনাড়ে এবং রায় বেরেলি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর আগে রায় বেরেলি আসনে নির্বাচন করেছিলেন তার মা সোনিয়া গান্ধী। তিনি এবার এ আসনটি ছেড়ে দেন। ফলে রাহুল রায় বেরেলি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জয়ী দুটি আসনেই। এর মধ্যে রায়বেরেলি নিজের কাছে রেখে ওয়েনাড়ে আসন ছেড়ে দেন। সেখানেই প্রিয়াংকা গান্ধী সরাসরি নির্বাচনে প্রথম পা রাখেন।
গত এক মাস ধরে তার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রিয়াংকাকে বিজয়ী করতে প্রচারণা চালিয়েছেন রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের সাবেক প্রধান সোনিয়া গান্ধী। তারা লক্ষ্য স্থির করেছেন এখানে কমপক্ষে ৫ লাখের বেশি ভোটে জয়ী হবেন প্রিয়াংকা। তাকে সমর্থন দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী ওয়েনাড়েকে উত্তম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যখনই লোকজন কেরালার কথা ভাবেন তখনই ওয়েনাড়ের কথা মাথায় আসতে হবে আগে। এটা হবে ওয়েনাড়ের জনগণের জন্য সুবিধার এবং এর অর্থনীতির জন্য মঙ্গল। বিশ্ব জানবে ওয়েনাড়ের সৌন্দর্য্য।